বেনাপোলের প্রতারক চক্রের হোতা বিবাহ রেজিস্ট্রারের খুঁটির জোর কোথায়!

যশোর ব্যুরো ঃ বেনাপোলের বহু বিতর্কিত কাজী ও প্রতারক চক্রের পরামর্শদাতা মোস্তফা কামালের অনিয়ম প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হলেও অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে সে কাজী পেশায় নিয়োজিত রয়েছে বহাল তবিয়তে। বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রি,ভুয়া কাবিন রেজিস্ট্রি ও ভুয়া তালাক বানানোয় সিদ্ধহস্ত বেনাপোল পৌরসভার ১,২ও ৩ নং ওয়ার্ডের নিযুক্ত কাজী মোস্তফা কামাল অবৈধ আয়ের আশায় একর পর এক বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ড করেও কালো টাকার প্রভাবে আইনের ফাঁক ফোঁকড় গলিয়ে বের হওয়ায় ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশীরা। সাম্প্রতিক ধুরন্ধর কাজীর ভূয়া তালাক বানিজ্যের স্বীকার বেনাপোল পোর্টথানাধীন দূর্গাপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান (৪০)। প্রতিকার পেতে ভূক্তভোগী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে কাজী মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং- সি আর ১৮৯/২৪ তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২৪ । এ মামলার অপর আসামীরা হলো-দূর্গাপুর গ্রামের মৃত হবিবার মন্ডলের কন্যা নাজিরা বেগম ও কোতয়ালী থানাধীন চাতিয়ানতলা চুড়মনকাঠী গ্রামের হাসানুজ্জামানের স্ত্রী মোছাঃ তানিয়া আক্তার। বিজ্ঞ আদালতের বিচারিক অভিযোগটি আমলে নিয়ে যশোর পি বিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে আসামীরা যোগসাজসে পিবি আই তদন্ত কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে নিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বাদী কামরুজ্জামান। তার দাবী কাজী কর্তৃক জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভুয়া তালাক বানালেও তদন্ত কর্মকর্তা এক্সপার্ট দিয়ে স্বাক্ষর যাচাই বাছাই না করেই মনগড়া রিপোর্ট প্রদান করেছেন। এতে তিনি সুবিচার প্রাপ্তিতে বাধাগ্রস্থ হবেন বলে আরো জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাজী মোস্তফার মুঠো ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে কল দিয়ে জাল সাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে কোর্ট বুঝবে বলে ফোন কেটে দেন। কাজী মোস্তফা কামালের বিষয় অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়,এ পেশায় অল্প সময়ে অনিয়ম দূর্নীতি করে সম্পদসহ কোটি টাকার মালিক বণে গেছেন। নারানপুর গ্রামের পলাশ জানান,কাজী মোস্তফা এলাকার পরকীয়ায় আসক্ত কাবিন লোভি মহিলাদের ফুঁসলিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ চুক্তিতে প্রথমে লাখ টাকার কাবিনে বিবাহ পড়িয়ে পরে তা ব্ল্যাকমেলিং এর মাধ্যমে তিনগুন বাড়িয়ে কাবিন বানিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এক কথায় কাজী মোস্তফা কামাল একজন প্রতারক চক্রের সদস্য। ভুক্তভোগী কামরুজ্জামানের দেওয়া বক্তব্যে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরকীয়ায় ফাঁদে ফেলে কামরুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে কাজী মোস্তফা কামালের সহায়তায় বিগত ১৭ইমে২০২৩ সালে বিয়ে করেন একই গ্রামের ইয়াসিনের স্ত্রী নাজিরা। বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে কামরুজ্জামানকে কাজী মোস্তফার ইন্ধনে ব্ল্যাাকমেলিং করে ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট ৫লাখ টাকার কাবিনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এঘটনায় কামরুজ্জামান নাজিরার সংসারে যাতায়াত বন্ধ করে দিলে কাবিন লোভী মহিলা কাবিনের ৫ লাখ টাকা আদায়ে মরিয়া হয়ে ওঠে। স্থানীয় গুন্ডাবাহিনী দ্বারা জোর পূর্বক কাবিনের টাকা আদায়ের পায়তারা চালালে কামরুজ্জামান আদালতের দারস্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী মোস্তফা কামাল নাজিরাকে আইনি সহায়তা পেতে ভুয়া তালাকের কাগজ বানিয়ে দেন ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিতে পরামর্শ দেন। কাজী মোস্তফা কামালের এহেন কর্মকান্ডে এলাকায় কোলহ সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকার সূধীমহল।