স্থানীয় সংবাদ

শাকবাড়িয়া খালের দুই পাড়ের স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় সেতু নির্মান কাজ বন্ধ

# দুর্ভোগে ৩ ইউনিয়নের মানুষ #

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) ঃ কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালের দুই পাড়ের দখলকৃত স্থাপনা সরাতে না পারায় খালের ওপর সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সরাতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসএ-জেডটি জেভি’ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। প্রায় ২ বছর ধরে জায়গা দখলমুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় শাকবাড়িয়া খালের দক্ষিন পাশ দখলমুক্ত হলেও উত্তর পাশে দখলকৃত স্থাপনা আজও দখলমুক্ত হয়নি। যে কারনে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গেছে, কয়রা সদর হতে মহেশ্বরীপুর ইউনয়নের গিলাবাড়ি জিসি সড়কটি মহারাজপুর ইউনিয়নের বড়ব্রীজ নামে পরিচিত শাকবাড়িয়া খালের উপর এই সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে সেতুটি ভেঙে যায়, যার ফলে কয়রা সদর হতে মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্রিজটির গুরত্ব বিবেচনা করে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ৩৬ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজের জন্য ‘এসএ-জেডটি জেভি’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তবে শাকবাড়িয়া খালের দুই পাড়ে দখলকৃত স্থাপনা সরাতে না পারায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেখানে দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। যা সেতুর নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা কাজ বন্ধ রেখে চলে গেছে । বর্তমানে সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়নের একাংশের লক্ষাধিক জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে । বর্ষার মৌসুমে আমন আবাদের সময় জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদে কৃষকদের ধান চাষের সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। যার কারনে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ফসল উৎপাদনের ঝুকিতে থাকে। কয়রা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরানোর চেষ্টা করা হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তালবাহানা করছেন। তবে এলজিইডি আশা করছে, দ্রুত স্থাপনা সরিয়ে সেতু নির্মাণ কাজ আবার শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের দুপারের অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেওয়ার পর দক্ষিন পাশের স্থাপনা সরানো হয়েছে। উত্তর পাশের স্থাপনা আজও সরানো হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরানো হবে

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button