দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষমতায় থাকার সুপ্ত ইচ্ছার কারণে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে টালবাহানা করছেন : হেলাল

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে আমরা হতাশ হয়েছি। সেই সাথে উপদেষ্টার প্রেস সচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সাংঘর্ষিক। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘২৫ সালের শেষে অথবা ২৬-এর শুরুতে নির্বাচন হবে। আর প্রেস সচিব বলেছেন, ‘২৬-এর জুনে নির্বাচন হতে পারে। এক্সাক্টলি (পূর্ণভাবে) আমরা বুঝতে পারছি না, কোনটি সঠিক। নির্বাচন বিষয়ে রোডম্যাপ কোনো যৌক্তিকতায়ই হয়নি। ড.ইউনুস সরকার ও তার পরিষদবর্গের যেন-তেন উপায়ে ক্ষমতায় থাকার সুপ্ত ইচ্ছার কারনে গনতন্ত্র উত্তোরণ ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিস্কার প্রস্তাব দিতে টালবাহানা করছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনক্ষন ঠিক করে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৯ডিসেম্বর) খুলনা তেরখাদা উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ৭১’র মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অফুরন্ত অনুপ্রেরনার উৎস, তাই ২৪’র গনঅভ্যূত্থানকে বেহাত করার কোন অপচেষ্টা সহ্য করা হবে না। গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের সংগ্রাম চলছে চলবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সরকারের সেদিকেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই রাজনৈতিক সরকারই পারে জনগনের উন্নয়ন করতে।
খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি আবুল ফজল হেলাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু, খুলনা জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, খুলনা জেলা বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, খুলনা জেলা যুবদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু, তেরখাদা উপজেলা বিএনপি সভাপতি চৌধুরী ফকরুল আলম বুলু, খুলনা জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাঈদসহ খুলনা জেলা বিএনপি ও তেরখাদা উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।