ফ্লু ভাইরাসে ছড়াচ্ছে জ¦র সর্দি কাসি

# সাগরে লঘুচাপ, বৃষ্টির সম্ভবনা #
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ কনকনে শীতের পর হঠাৎ বেড়েছে তাপমাত্রা। আর সেই সাথে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভবনা। যা আগামী সোমবার পর্যন্ত থাকতে পারে। এর পর বাড়তে পারে শৈত্য প্রবাহ । এ দিকে খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানিয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও বেশি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে যা আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ আংিশক আকাশ মেঘলাসহ বেশ কয়েক জায়গায় হালকা বা মাঝারী আকারে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও আবার মাঝারী আকারে কুয়াসা ও দেখা যেতে পারে । তবে বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্র খুব একটা কমছেনা। এদিকে শীতকালীন রোগ বালাই বাড়ছে । খুলনা নগর ও জেলায় এমন কোন বাড়ী নেই যে জ¦ও বা সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেনা। আর বিশেষ করে মারাত্মক সর্দি, কাসিতে নাজোহাল নগরবাসী। অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে নানা ধরণের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। অনেক উপার্জনক্ষম মানুষেরা ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। পাশাপাশি শিশু আর বয়স্ক মানুষেরা আরও বেশি জটিলতায় ভুগছেন। অনেক শিশুরা শরিরে ঠান্ডা গরম লাগিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে নিউমনিয়াতে। খুলনা শিশু হাসপাতালে ও রয়েছে রোগীর চাপ। আর চাপ সামলাতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষকে। অনেকে রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করছেন ভর্তি হলেও সিট পাচ্ছে না। এ বিষয়ে কথা হয় ভুক্তভোগী মহুয়া বেগমের সাথে তিনি বলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোন শয্যা খালি নেই। আমি মোল্লাহাট থেকে এসছিলাম এমনকি কেবিন ও খালি নেই। এখন কোন উপায় না পেয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এছাড়া কথা হয় দিন মজুর তরিকুলের সাথে তিনি বলেন, নাক থেকে অনবরত সর্দি ঝড়ছে। আর সেই সাথে কাসি। আর মেজাজ খুবই খিটমিট হচ্ছে। গেল তিন দিন যাবৎ এমনটি হচ্ছে। গতকাল থেকে শরির ভাল লাগছে না। এ বিষয়ে হয় খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মাদ কামাল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, এসমযে মৌসুমী বিভিন্ন রোগ-বালাই হচ্ছে। বিশেষ করে শীতের সময়ে ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসময়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সতর্কতা ছাড়া এলোমেলো চলাফেলা করলে শরিরে ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় এসব সর্দিকাসি বা জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্যারাসিটামল বা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তবে এসব ওষুধ সেবন করে না কমলে তখন সরাসরি চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে।



