স্থানীয় সংবাদ

অতিথি পাখি শিকার বন্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগের দাবী বাপা’র

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ অতিথি পাখি শিকার বন্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা এবং প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা শাখা। সংগঠনের পক্ষে সংগঠনের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাডঃ মোঃ বাবুল হাওলাদার এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের দেশের পরিবেশ প্রকৃতির উপর নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরূপ প্রভাবে কমতে কমতে পাখির সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে ৬৫০ প্রজাতিতে। অথচ পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা তথা মানুষসহ যাবতীয় প্রাণীকুলের জীবন-জীবিকায় পাখিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যমান পাখিদের প্রজাতির মধ্যে ৩৫০ প্রজাতির পাখি আমাদের দেশে আবাসিক বাকী ৩০০ প্রজাতির পাখি অনাবাসিক। এ অনাবাসিক পাখিদের মধ্যে ২৯০ প্রজাতির পাখি শীত মৌসুমে শীত প্রধান অঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে প্রাকৃতিক নিয়মেই আমাদের দেশসহ আশ পাশের দেশগুলোতে আসে। বিশেষতঃ ফসলের পরাগায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধিসহ খাদ্যচক্রের বিভিন্ন স্তরে এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অতিথি পাখিদের বিষ্ঠা বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধিতে উপাদেয় খাবার হিসেবে ভূমিকা রাখে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, অসচেতনতা এবং আইন প্রয়োগের অভাবে এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারী এবং রসনা বিলাসিরা এ পাখি নিধন করে থাকেন। ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এবং ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী পাখি নিধনের শাস্তি হিসেবে এক বছর কারাদ- বা এক লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। পুনরায় একই অপরাধের জন্য দ্বিগুণ শাস্তি এবং জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে পাখি শিকারীরা যেমন অনেকটাই অসচেতন অন্যদিকে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন অনেকটাই উদাসীন। অথচ সামান্য লাভ ও লোভের বশবর্তী হয়ে পরিবেশ ও সম্পদের অপূরনীয় ক্ষতি করে ফেলা হচ্ছে। যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মারাত্মক ভয়াবহ। বিবৃতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে সর্বনাশা এ কর্মকান্ড বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানানো হয়।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button