শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি

# পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে নগরীর সবজি বাজারে কমেছে সবজির দাম #
মোঃ আশিকুর রহমান ঃ কয়েকদিন আগের সেই উত্তাপ্ত সবজির বাজারে ইতোমধ্যে স্বস্তি নামতে শুরু করছে। কিছুদিন আগেও নগরীর সবজি বাজারে ক্রেতারা বাড়তি দামে সবজি কিনতে হোঁছট খেয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে নগরীর সবজি বাজারে। বর্তমানে সবজি বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দাম অনেকটাই ক্রেতা নাগালের মধ্যে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা। বাজারে সবজি কিনতে আসা একাধিক ক্রেতারা বলছেন, কিছুদিন আগেও ফুলকপি, পাতাকপি, ওলকপি, টমেটো, বেগুন, সীমসহ প্রভৃতি সবজির দাম উর্ধ্বগতি ছিল। বর্তমানে সেই সবজি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে। ক্রেতাদের বিপরীতে সবজি বিক্রেতারাও জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে সবজি বাজারে সবজির দাম বেশি থাকলেও বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কয়েকদিন আগের তুলনায় বর্তমানে সবজির দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে। নগরীর কয়েকটি সবজি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) নগরীর দৌলতপুর খুচরা সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৫০ প্রতি কেজি টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, পাতাকপি ৩০ টাকা, ওলকপি ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মেটে আল ৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি ৪০ পিস, কাচ কলা প্রতি হালি ৩০ টাকা, পালংশাক ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এব্যাপারে দৌলতপুর বাজারে আসা ক্রেতা আঃ রহিম জানান, বর্তমানে বাজারে সবজির দাম হাতের নাগালে এসেছে। কিছুদিন আগেও যে কোনো এক প্রকার সবজি কিনতে গেলে প্রতি কেজি সবজি দাম ৭০/৮০ টাকা লাগতো। বর্তমানে ৩০/৪০ টাকায় ১ কেজি সবজি মিলছে। যারা নি¤œ আয়ের মানুষ তারা বর্তমানে সবজি কিনতে স্বস্তিবোধ করছেন। একই বাজারে আসা অপর ক্রেতা শাহিনা আক্তার জানান, বর্তমান বাজারে সবজির দাম সস্তা। কয়েকদিন আগেও ফুলকপি ৮০টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গতকাল বাজারে সেই ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৩০/৪০ টাকা কেজি দরে। তাছাড়া অন্যান্য সবজিও ক্রেতাদের হাতের নাগালে। এমন অবস্থা ক’দিন যাবে জানিনা। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ব্যবসায়ীরা ডাকাতি শুরু করবে। বলবে ভারী বর্ষায় ফসল নষ্ট হয়েছে, তাই দাম বেশি। কোনো কোনো অজুহাত দেখিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সারা বছর সবজি বাড়তি দামে বিক্রি করে থাকেন। বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। রিক্সা চালক নাসিম জানান, ওরে বাবা কয়েকদিন আগে তরকারিতে কি দাম ছিল। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে পেতাম ৫/৬’শ টাকা। ওই টাকা হতে গ্যারেজ ও রিক্সা ভাড়া দিয়ে টাকা থাকতো না। রিক্সা ও গ্যারেজ ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে সবজি কিনবো না চাল কিনবে। কয়েকদিন আগেও বেগুন ছিল ১৬০ টাকা কেজি। সেই বেগুন এখন মাত্র ৫০/৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্য সব তরকারির দামও বর্তমানে কম। সবজি বাজার এভাবে থাকলে আমরা গরীব মানুষ বেচে থাকতে পারবো। দৌলতপুর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা জিয়া জানান, বর্তমান বাজারে সবজির দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। কিছুদিন আগে শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও দাম বেশি ছিল। কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ছিল। তাছাড়া প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতিসহ দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু যৌক্তিক কারণও ছিল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দাম কমে গেছে। সবজি কিনতে ক্রেতারা স্বস্তি বোধ করছেন।