স্থানীয় সংবাদ

বেঁচে থাকার লড়াই যখন ডায়ালাইসিস

# বাড়ছে কিডনি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা #

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তারপরও দুনিয়াতে কিডনি রোগীদের একমাত্র বেঁচে থাকার ভরসা যখন ডায়ালাইসিস। ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করাতে যেয়ে যখন জমি-জায়গা গবাদি পশু এমন কিছু নেই যে মানুষ বিক্রি করে হলেও রোগীর চিকিৎসা করাচ্ছেন ।জটিল এই রোগের সংখ্যা দিন দিন মারাত্মক হারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে চিকিৎসকরা জানিয়েছে মূলত উচ্চ রক্ত চাপ, বিনা কারণে ওষুধ সেবন করা সহ অতিমাত্রায় ব্যথা জাতীয় ওষুধ সেবন করা,পাশাপাশি অতিমাত্রায় ধুমপান বা এ্যালকোহল জাতীয় করা ডায়াবেটিসসহ মূত্রনালিতে অযথা প্রসাব আটকিয়ে রাখা এর কারণ। আর একবার এই রোগে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে তার শরীর থেকে বর্জ পদার্থ বের করতে হলে জীবন বৃদ্ধির একমাত্র ভরসা এই ডায়ালাইসিস। আর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০ রোগী ডায়ালাইসিস নিচ্ছে ভর্তি রোগী ছাড়া সিডিউলে এসব রোগীরা ৬ মাসের প্যাকেজে প্রতি সপ্তাহে দুদিন এই ডায়ালাইসিস নিচ্ছে। এছাড়া ভর্তি রোগীদের জন্য ফ্রিতে এই ডায়ালাইসিস এর ব্যবস্থা রয়েছে। মোট ১২০ জন কিডনি রোগী পর্যায়ক্রমে এই চিকিৎসা সুবিধা নিচ্ছে। তবে বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে এর খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের। মূলতঃ ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে কিডনি বিকল রোগীর শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া হয়। যার ফলে রোগী ভালো অনুভব করে এবং তার জীবনযাপনের মান উন্নত হয়। কথা হয় রোগী সাফিয়া বেগমের সাথে তিনি বলেন, আমার হঠাৎ করে পেটে নিচে ব্যাথা আর পেটে গ্যাস বমি বমি ভাব আমি জানতামনা যে আমার কিডনিতে সমস্যা। পরে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতে বলে তখন দেখি আমার ১৬ পয়েন্ট এর উপর চলে এসেছে। তখনই চিকিৎসক বাধ্য হয়ে আমাকে ডায়লাইসিস করতে বলে। আমি প্রথমে গাজী মেডিকেলে ভর্তি হয়ে এই ড্য়াালাইসিস নেই। তবে অতিমাত্রায় খরচের কারণে এখন খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রালাইসি নিচ্ছি। এছাড়া কথা হয় কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া আক্তার হোসেনের সাথে তিনি বলেন, ভাই আমি একজন ব্যবসায়ি ছিলাম, আমার নিজের বড় একটি শপিং মল ছিল। যেখানে প্রতিদিন লাখ টাকার উপরে বেচা-কেনা ছিল বলতে পারেন আমি টাকার বালিশ বানিয়ে শুয়ে থাকতাম। আজ আমার কিছু নেই। এই রোগে আক্রান্ত আমি শেষ। প্রাইভেট হাসপাতালে লাখ,লাখ টাকা গেছে।এখনছোট একটি ছেলে সংসারে। আমি এভাবে হয়তো একদিন চলে যাভ আমি কখনও সিগারেট ও টান দেয়নি। তারপরও কেন এমন রোগ হলো জানিনা। আমি আজ অসাহায়। এ বিষয়ে কথা হয় সচেতন নাগরীক মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, দিদিন কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগ বাড়[ছে। সেই তুলনায় সরকারী ভাবে ই রোগের জন্য খুব বেশি চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা নেই। এই ব্যায়বহুল খরচ মেটাতে রোগীর পরিবারের সব কিছু বিক্রি করে সেবা নিেেত হচ্ছে। সরকারী ভাবে এই চিকিৎসা ব্যাবস্থা মান বা পরিধি দুটো বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, আমি যোগদানের পর আরও কিছু কিডনি রোগীদের শয্যা বাড়িয়ে দিয়েছি। এখন ডায়ালাইসিস বিভাগে ২৮টি শয্যা সহ মোট ১২০ জন রোগী ডায়ালাইসি নিচ্ছে। এছাড়া ডায়ায়ালাইসিস এর জন্য আমরা কোন ধরনের সুপারিশ বা তদবির বলেন কিছু শুনিনা।আমরা সিরিয়াল ছাড়া কোন শিডিউল দিচ্ছিনা। এর কারণ এসব রোগে যারা আক্রান্ত তারা সকলে মরণ যাত্রী আমরা এসব রোগীদের ক্ষেত্রে মানবিক ভাবে কাজ করতে চাই।সকলকে সমান অধিকার দেয়া হয় কোন গরীব,ধনি, বা প্রভাবশালি মহল সকলে সমান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button