সন্ধ্যা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান ছিল প্রধান প্রধান সড়কে

# হ্যাপী নিউ ইয়ার ২০২৫ #
# কাজে আসেনি নিষেধাজ্ঞা, আতশবাজিতে রঙিন আকাশ ভীতিকর শব্দে ক্ষুদ্ধ খুলনার মানুষ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঘড়িতে রাত ১২টা বাজার আগেই বিকট শব্দে একাকার হয়ে ওঠে পুরো খুলনা নগরী। রঙিন হয়ে ওঠে শহরের আকাশ। পটকা ও আতশবাজির শব্দে শিশু, অসুস্থরা ক্ষুব্ধ হলেও নগরীর মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষ খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন। সন্ধ্যা থেকে মহানগরীতে নামে যৌথ বাহিনী। রাত ১২টার পর যৌথ বাহিনী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, সাত রাস্তার মোড় সবখানে একসাথে দুই তিনজনকে দেখলেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে যৌথ বাহিনী, হেলমেট বিহিন চালক, বা এক বাইকে ৩/৪জন দেখলেই দাঁড় করিয়ে রাস্তায় বুক ডাউন দেওয়া, কান ধরে উঠবোস করায় উঠতি বয়সি চালকদের। কিন্তু বাসা বাড়িতে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এই নিষেধাজ্ঞা। কয়জন রাস্তায় আতশবাজি ফুটিয়েছে, ফানুস উড়িয়েছে। যা হয়েছে বড় বড় রেস্তোঁরায় বাসা-বাড়ির ছাদে। এটা সারা বিশ্বে পালিত হয়। নাগরিক অধিকার মনে মানুষ। ছোট খাট চায়ের দোকান, রেঁস্তেরা ছাড়া সবখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলতে থাকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লিখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো। এভাবে নানা আয়োজনে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিল মানুষ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত খুলনা নগরীর প্রায় সব বহুভবনের ছাদেও ছিল উৎসব। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ছাদগুলো থেকে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফাটানো হয়। বিভিন্ন এলাকাসড়কেও আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। বার থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও শোভাযাত্রার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ষবরণ উৎসব উদ্যাপনের বুনো জোয়ারে ভেঙেছে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তা তা আরও গতিপায়। যা ক্ষুব্ধ করেছে শান্তিপ্রিয় নগরবাসীকে। তবে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় যৌথ বাহিনীর সড়ক চেকিং অপ্রতিরোধ্য মটর সাইকেলের গতি কিছুটা কমিয়েছে। খালিশপুরের বাসিন্দা মাসুম হোসেন বলেন, তাদের পাড়া মহল্লায় এত বেশী পটকাবাজি ফুটেছে যা চলে প্রায় রাত ২/৩ টা পর্যন্ত। তবে এ সময় পুলিশের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর ঘুম হারায় হয়ে যায়।