পোস্ট অফিসে আর আদান-প্রদান হয়না চিঠিপত্র

# অপেক্ষার প্রহর গুনে না নববধূরা স্বামীর লিপির অপেক্ষায় #
সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, দিঘলিয়া খুলনা থেকে ঃ
দিঘলিয়ার সেনহাটি সাব পোস্ট অফিসটির এক সময়ের মানুষের গণমুখী গণযোগাযোগ মাধ্যম হলেও যুগের বিবর্তনে পোস্ট অফিসের কদর যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে যেন ফুরিয়ে আসছে পোস্ট অফিস কেন্দ্রীক কর্মকান্ড। তাই প্রাচীনকালের গণবন্ধন গণযোগাযোগ মাধ্যমকে আরো আধুনিকায়ন করে গণমুখী কর্মকান্ডকে সম্পৃক্ততা আনায়ন করে কর্মতৎপর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ঘটানোর দাবী সর্বমহলের।
বাংলাদেশের প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল পোস্ট অফিসে হয় না আদান-প্রদান চিঠি পত্র। অপেক্ষায় থাকে না নববিবাহিতা গাঁয়ের বধূরা স্বামীর হতে লেখা লিপির জন্য, প্রবাসী পিতা মাতা, আত্মীয়-স্বজন পথ চেয়ে থাকে না কখন বাড়িতে আসবে হলুদ কাপড়ের ইউনিফর্ম পরিহিত পত্রবাহক পিয়ন। গাঁয়ের নববধূরা স্বামীর ছুটির জন্য পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টেলিগ্রাম পাঠিয়ে আর অপেক্ষায় থাকেনা। পোস্ট অফিসে যেয়ে কেউ খোঁজ নেয় না আছে কি চিঠি পত্র কথাগুলো বলছিলেন সেনহাটি পোস্ট অফিসের পিয়ন কাজী মোঃ মোস্তাফিজ কামাল। তিনি আরও জানান, দুই যুগ আগেও ব্যস্ত ছিলাম চিঠিপত্র নিয়ে এখন শুধু অভিযোগের পত্রই আমরা বহন করে থাকি। যেমন ধরেন প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, যৌতুকের দাবিতে দম্পতি বিচ্ছিন্ন হওয়া তালাকের কাগজপত্র, জমিজমা সংক্রান্ত মামলার কাগজপত্র, চাকরি সংক্রান্ত চিঠিপত্র, প্রবাসী ব্যাংক কৃষি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র আদান-প্রদান চলে। পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন আদালতের নোটিশ ও গ্রেফতারীর পরোয়ানার পত্র। যেগুলো হাতে পেয়েই পুলিশ বাড়ি বাড়ি আসামী গ্রেফতারে পরোয়ানা নিয়ে ছুটে। আগের দিনের ন্যায় ছুটেনা মানিঅর্ডারের ফরম ও টাকা নিয়ে। যদিও এখন ব্যাংকের ন্যায় নানা ধরণের সঞ্চয়ী হিসেব খোলা ও টাকা লেনদেন করা যায়। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও সরকারি নানা ডকুমেন্টস পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে।