দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতি নির্বাচন : আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী

# ১০ টি পদে ভোট যুদ্ধে লড়বেন প্রার্থীরা, ভোটার সংখ্যা ২৫৬৬ #
# প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি #

মো. আশিকুর রহমান ঃ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী ’২৫ (সোমবার) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতি (রেজি:নং- ২৫১০)’র ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী, সমর্থক, সাধারন ব্যবসায়ীসহ গোটা দৌলতপুর এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। চায়ের দোকান হতে শুরু করে সর্বত্র একটাই আলোচনা চলছে কারা আসছেন দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির নতুন নেতৃত্বে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, ১০ টি পদের বিপরীতে ভোটের মাধ্যমে ১৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। যার মধ্যে সভাপতি ১ জন, সহ-সভপতি পদে ২ জন, সাঃ সম্পাদক পদে ১ জন, সহ-সাঃ সম্পাদক পদে ২ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ১ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১ জন, প্রচার সম্পাদক পদে ১ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৭ জন। রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকালে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, ভোটার সংখ্যা ২৫৬৬। সোমবার (৬ জানুয়ারী) সকাল ১১টা হতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রয় করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১ টা হতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টা হতে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) নির্বাচন পরিচালনা কমিটি চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত ৫৩টি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারী) সকালে দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, উৎসবমুখর পরিবেশে আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচনে প্রার্থীরা অংশগ্রহনের জন্য মনোনয়নপত্র গ্রহন করছেন। সর্বশেষ তথ্যানুসারে গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২০জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহন করেছেন। একটি অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য তারা সকলের সহযোগীতাও কামনা করেছেন।
দৌলতপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন পর বাজারে নির্বাচন হচ্ছে, এটা খুবই আনন্দের খবর। আশা করি একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী, সাবেক সাঃ সম্পাদক আলহাজ¦ শেখ আসলাম জানান, বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা কমিটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। অতীতে ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করবো।
খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও আসন্ন দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সাঃ সম্পাদক প্রার্থী এম এম জসিম জানান, দীর্ঘ বিরতীর পর একটি গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন পাচ্ছি, এটি অত্যন্ত আনন্দের। ওই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে চাওয়া থাকবে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। প্রার্থী হিসাবে ভোটারদের কাছে আমার চাওয়া, ভোট যেহেতু একটি পবিত্র আমানত, সেহেতু ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আমি নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে দাবি করি এবং আশাকরি ভোটাররা আমাকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। বিগত দিনে আমি ব্যবসায়ীদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থেকে কাজ করবো। দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সাঃ সম্পাদক ও দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতি এডহক কমিটির আহ্বায়ক শেখ ইমাম হোসেন জানান, আমরা শতভাগ আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা বাংলাদেশে ফিরে আসুক। সেই প্রত্যাশা এই নির্বাচন দিয়ে শুরু করতে চাই। দৌলতপুর বণিক সমিতির অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মুশার্রফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে আমরা চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছি এবং মনোনয়নপত্র বিক্রয় শুরু হয়েছে। প্রার্থীদেরকে নির্বাচন আচারণবিধি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। সকলের সহযোগীতা পেলে আশা করি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও এডহক কমিটির আহ্বায়কসহ ২১জন সদস্য নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।