স্থানীয় সংবাদ

সেবার মান বৃদ্ধি ও সকলকে হেলথ কাভারেজের আওতায় আনতে কাজ করছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য এম এম রেজা

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা বুধবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য এম এম রেজা।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, স্বাস্থ্যখাতকে জনমুখী ও সর্বজনগ্রাহ্য করতে দুইটি বিষয়ে ভাবতে হবে। প্রথমটি হলো সেবার পরিমান বাড়ানো, যাতে করে সবাই সেবাটি পায়, আরেকটি হলো ব্যক্তির আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাকে হেলথ কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসা। এটা না করতে পারলে কিছু লোক হয়তো উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবে কিন্তু একটি বড় সংখ্যক মানুষ এ সেবা পাবে না। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি অংশের পরিসর যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি এইখাতে বেসরকারি পর্যায়েরও অনেক বিকাশ হয়েছে। বেসরকারিখাতে স্বাস্থ্যশিক্ষা, যেমন মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে মোট শয্যা সংখ্যার চেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর মোট শয্যা সংখ্যা বেশি। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের ল্যাবরেটরিজ ফ্যাসিলিটিজও বেশি।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রেও সেবাদান পরিস্থিতির উন্নয়নে বিশেষ করে সেবার মান ও খরচ বিষয়ে ভাবতে হবে। তবে, সরকারি স্বাস্থ্যখাতের দক্ষতা বাড়ানো ও দুর্নীতি দূর করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খুলনারবিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, ড. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. মোঃ মনজুরুল মুরশীদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দীন উল ইসলামসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি, বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী,পেশাজীবী চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি, এনজিও, মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বক্তৃতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা প্রদানে সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলো ও চিকিৎসা উপকরণের স্বল্পতা দূর করার বিষয়টি উঠে আসে। একই সাথে স্বাস্থ্যখাতের মাঠপর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি বন্ধে করণীয়, মেডিকেল ও নার্সিং কলেজসহ স্বাস্থ্যশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত মানসম্মত স্তরে আনা, চিকিৎসকদের সঠিকসময়ে পদোন্নতি ও স্বাস্থ্যখাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে জানানো হয়। আবার সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগের মতো প্যাথলজি ও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা ২৪ ঘন্টা চালু রাখা এবং হাসপাতালগুলো দালালমুক্ত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরেন অংশগ্রহনকারীরা।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button