স্থানীয় সংবাদ

নিউজপ্রিন্ট মিলের শতকোটি টাকার মালামাল নামমাত্র মূল্যে টেন্ডার পেয়েছে ওয়েস্টার্ণ বিল্ডার্স

# বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বাঁধার মুখে স্ক্রাপ ভর্তি ট্রাক #

স্টাফ রিপোর্টারঃ নিউজপ্রিন্ট মিলের স্ক্রাপ ট্রাক ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রবিবার দুপুরে এই ট্রাক বাধার মুখে পড়ে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা জড়ো হয়। তারা মিলের মূল্যবান মালামাল নামমাত্র দামে বিক্রির প্রতিবাদ করে। একই সাথে টেন্ডার স্থগিতের দাবি জানায়। ছাত্র প্রতিনিধি মিনহাজসহ শতাধীক ছাত্র এ আন্দোলনে যোগ দেয়। ওয়েস্টার্ণ বিল্ডার্স নামক প্রতিষ্ঠান শেখ বাড়ির মাধ্যমে কাজ পায় বলে গুজব রয়েছে। এ জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে শেখ বাড়িকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। ৬৫ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা এ কোম্পানী। এই কোম্পানীকে কাজ দিতে হবে-এমনই সিদ্ধান্ত ছিল শেখ বাড়ির পক্ষ থেকে। যার জন্য টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীরা বৈধতা দেয়ার জন্য নামমাত্র অংশ নেয়। এসব বিষয় নিয়ে ৫ আগস্টের পর আন্দোলনে নামে স্থানীয় লোকজন। যদি তারা পরে চেয়ে যায়। এ সুযোগে মিলের এমডি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজসে মিলের মালামাল বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেভাবে এ মালামাল নেয়ার উদ্যোগ নিলে ছাত্ররা বিষয়টি জানতে পেলে তারা ট্রাক আটকে দেয়। সন্ধ্যার আগে তারা মিলের ভিতর প্রবেশ করে বলে স্থানীয় সূত্রটি জানায়। এই আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধি আঃ বারেক হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি। হাজার কোটি টাকা মূল্যের মালামাল নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র। সুবিধা নিয়ে একটি চক্র সেই টেন্ডার বহাল রেখেছে। যার জন্য হতাশার জায়গা থেকে আন্দোলন বন্ধ করে দিয়েছি।” তবে রাত ৮টার দিকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা ) ছাত্র ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী শান্তিপূর্নভাবে মিলের ভিতর অবস্থান করছিল। নিউজপ্রিন্ট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, বর্তমান নিউজপ্রিন্ট মিলে ওষুধের কাচামাল উৎপাদনের একটি কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে জন্য এ মিলের মালামাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বিগত সরকার। সে মতে, নিউজপ্রিন্ট মিলের মালামাল স্ক্রাপ হিসেবে বিক্রির জন্য দু’ দফা ওপেন টেন্ডার দেয়া হয়। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে টেন্ডার দেয়া হয়। রবিবার দুপুরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্ক্রাপ নিতে ট্রাক নিয়ে মিলে আসে। তারা যথারীতি মালামাল লোড করে। এমন সময় বৈষম্য বিরোধী ৪০/৫০ জন ছাত্র মিলে জড়ো হয়। তারা ৫ আগস্টের আগে এ টেন্ডার হওয়ার কারণে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছে। তারা টেন্ডার বিষয়টি স্বচ্ছতা জানার জন্য চেষ্টা করছে। তবে মন্ত্রণালয় বা উপরের কোন মহল থেকে মালামাল না নেয়ার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। তবে তিনি ছাত্রদের সাথে বিরোধে যাবেন না। তিনি তাদের কাগজপত্র দেখাবেন। তারপর ছাত্ররা কি সিদ্ধান্ত দেয় তা কর্তৃপক্ষকে জানাবো। কর্তৃপক্ষ যা বলবেন সেই অনুযায়ী কাজ হবে বলে তিনি জানান। খালিশপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা দাবি করেছে যেহেতু এই টেন্ডারটা দলীয় সরকারের অধিনে হয়েছে। তাই স্বচ্ছতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। তারা এই টেন্ডার স্বচ্ছতা দেখতে চায় অথবা এ টেন্ডার বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এ সমস্যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মিল থেকে যাতে কোন মালামাল না বের হয়, এইটা দাবি ছাত্রদের। তবে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে বেল তিনি জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button