‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ আজ

# খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান প্রস্তুত #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনা তুলে ধরতে খুলনায় ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি কর্মসূচি শুক্রবার (১৬ মে) প্রথমে দিনে খুলনা প্রেসক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে বিকাল ৪টায় ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ খুলনা ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা ও ররিশাল বিভাগের তরুণ নেতাকমীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার (১৬ মে) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানান, বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকস্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য, হারানো গণতন্ত্রকে পুন:রুদ্ধারের জন্য এবং একটি দৃশ্যমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। ১৭ তারিখের (আজকের) সমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। দেশের জনসংখ্যার বড় অংশই তরুণ। জুলাই -আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন এই তরুণেরা। দেশের নানাবিধ কাজে আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে তরুণদের যুক্ত করা যায়নি। বিএনপি তরুণদের মেধা, জ্ঞান এবং তাদের স্বপ্নকে ধারণ করতে চায়। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তরুণদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায়। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন জানান, তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির এক যুগান্তকারী কর্মসূচি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই আয়োজন একটি মাইলফলক। এই কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অভিনব নেতৃত্ব এবং নির্দেশনার উজ্জ্বল স্মারক। সমাবেশে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সমাবেশ স্থলে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সাউন্ড সিস্টেম আনা হয়েছে রাজধানী ঢাকা থেকে। সমাবেশ স্থলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপশি দলের হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। মঞ্চর তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। নগরীর জিয়া হল চত্বর (শিববাড়ি মোড়) সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও নগরবাসির দুর্ভোগ লাঘবে জিয়াহল চত্বর থেকে সমাবেশস্থল সাকির্ট হাউজ ময়দানে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিডিন জানিয়েছেন।