স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটে সড়কের ২ দিন ব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান শেষ

# রাজনৈতিক দলের কার্য্যলয়সহ রয়ে গেছে কতিথ প্রভাবশালীদের
অনেক অবৈধ স্থাপনা #

আজাদুল হক, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ২ দিন ব্যাপী অভিযান বৃহস্পতিবার শেষ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে পরে বিএনপি অফিস হওয়া রাজনৈতিক কার্য্যলয়সহ কতিথ প্রভাবশালীদের দখলে থাকা অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই অভিযান শেষ করা হয়েছে। এতে আরো সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাগেরহাটে। বাগেরহাটে সড়কের জমি দখলমুক্ত করতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় সওজ। দুই দিনে বাগেরহাটের ফকিরহাট টাউন নোয়াপাড়া থেকে পিরোজপুর বলেশ্বর সেতুর পশ্চিম প্রান্ত মহিষপুরা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে খান জাহান মাজার মোড়ের একাধিক স্থাপনাসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক কার্যালয় অক্ষত রয়ে গেছে। এক সময় সেগুলো আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কার্যালয় ছিল। গত ৫ আগস্টের পর সেসব স্থাপনায় এখন ঝুলছে অন্য দল ও সংগঠনের ব্যানার। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, দরিদ্র চা-বিক্রেতা বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ছোট দোকানঘর ভাঙ্গতে যে কঠোরতা ছিল, তা দেখা যায়নি প্রভাবশালীদের বেলায়। রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ব্যানারে থাকা অনেক কার্যালয়ই সড়কের জমি দখল করে স্থাপনা করে আছে। সরেজমিনে বাগেরহাট শহরের দশানী থেকে সিঅ্যান্ডবি বাজার পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের পাশে উচেছদ হয়নি এমন ১০টি কার্যালয় দেখা গেছে। আগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় হলেও এগুলো এখন বিএনপি ও তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রেস সোসাইটি ও মানবাধিকার সংস্থা, ব্লাড ব্যাংক, শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু স্থাপনা অক্ষত দেখা গেছে । এদিকে বাগেরহাট সড়ক বিভাগ বলছে, জমি পুনরুদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ওই অভিযানে বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী অভিযানে ৪০ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই দখলমুক্ত হয়েছে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজ খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব পিযুষ চন্দ্র দে। এ সময় সওজ বাগেরহাট অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাসহ সওজের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সড়কের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা সচিব পিযুষ চন্দ্র দে জানান, উচ্ছেদ অভিযানের আগে সড়কের জায়গার সীমানা নির্ধারণ, মাইকিং করা এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অবৈধ স্থাপনাকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেননি, তাদের স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সওজ বাগেরহাট অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সড়কের অনেক জায়গা দখল করে পৌরসভা দোকান ঘর নির্মান করে বরাদ্ধ দিয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। উল্লেখ্য, সওজের অসাধু কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনৈতিকভাবে ম্যানেজ করে এক শ্রেনীর মানুষ সড়ক ও সমহাসড়ক পাশে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরী করে। বিগত সময়ে অসংখ্যবার এ উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা স্থায়ী হয় না। কারন অবৈধ স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই বলে অবৈধ দখলবাজরা পুনরায় দখল করে নেয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button