স্থানীয় সংবাদ

বেতন অনিশ্চিয়তায় ভুগছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী¢ব হচ্ছেনা। নিখোঁজের আত্মীয়-স্বজনসহ অনেক জায়গায় বহু খোঁজ করেও এখনও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কোন সহৃদয় ব্যক্তি নিখোঁজের কোন সন্ধান পেলে ০১৭৯৯৪২৪২৫৯ এই মোবাইলে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।এ ব্যপারে সোনাডাঙ্গা থানার একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং:১০৪৫,তাং:১৫/৫/২৫

# উচ্চ আদালতে ৩ মাসের জন্য দরপত্র স্থগিত করলেও চলছে ৬ মাস

শেখ ফেরদৌস রহমান : বেতনের অনিশ্চিয়তার মধ্যে ভুগছে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারি। দরপত্র স্থগিত আদেশ ছিল ৩ মাস তবে, প্রায় ৬ মাস পার হলেও এখনও কাজের বেতন পাবে কি পাবেনা বলতে পারছেনা ঠিকাদারও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর কদিন পর আসছে ঈদ-উল আজহা। পর পর দুটি ঈদেও কোন বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে ঠিকাদার। এমন হতাশায় আর দুশ্চিন্তায় ধুঁকছে এসব কর্মচারী ও তার পরিবারেরা। এ বিষয়ে কথা হয় আউটসোর্সিং কর্মচারী মোঃ দেলোয়ারের সাথে তিনি বলেন, পরপর দুটি ঈদেও বেতন নেই। আর কবে বেতন পাবো জানিনা। কাজ প্রতিদিন করছি । হাসপাতাল সেবা বন্ধ করা যাবেনা। এবি প্রোপার্টিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিনা কারণে উচ্চ আদালত থেকে কার্যক্রম স্থগিত আদেশ করিয়েছে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে পরিচালক ডাঃ শাহীন স্যার অনেক চেষ্টা করলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা জন্য আমাদের বেতন আটকে আছে। এছাড়া জানাজায় গেল ১৭ বছর যাবৎ আওয়ামলীগের নেতা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিফোর এস এর পরিচালক মোঃ গিয়াস তিনি একক ভাবে কাজ করেছেন। যেখানে তার সাথে এই ব্যবসায় জড়িত ছিল তৎকালিন আওয়ামলীগ নেতা মোঃ আশরাফ নান্নু, বাশার, । যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মচারীদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে প্রতি মাসে দশ থেকে বারো লাখ টাকা আত্মসাৎ করতো। এছাড়া জানাযায় খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গেল বছর ১৮ই নভেম্বর রাজস্ব খাতে বিভিন্ন পদে ৮৮ জন আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহ জন্য দরপত্র আহবান করে। যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান ১জন, প্লাম্বার ১ জন,জেনারেটর অপেরেটর ২জন, মালী ২ জন, লিফটম্যান, ৩ জন, ওয়ার্ড বয় ২৬ জন, আয়া ১৭ জন, টেবিল বয় ২ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মি ২৮ জন, মশালচী ২ জন। এছাড়া পত্রে উল্লেখ্য করা হয় ৫ই ডিসেম্বর দরপত্র জমা দিতে হবে। এতে করে আগ্রহী ঠিকাদারেরা এই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে প্রায় ২৬ জন বিভিন্ন নামের কোম্পানি শিডিউল ক্রয় করে। এর মধ্যে শিডিউল জমা দেওয়ার আগের দিন ৪ ই ডিসেম্বর উচ্চ- আদালতে থেকে দরপত্রে সকল কার্যক্রম তিন মাসের জন্য বন্ধের জন্য রীট করে আদেশ জমা দেন এবি, ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামের এক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ আলামিন। স্থানীয়রা জানান দরপত্র স্থগিত মামলা করা এই ছেলেটি মোঃ আলামিন মূলত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল খালিশপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রাশেদের প্রতিবেশি ও বন্ধুবর ছিল। পাশাপাশি সেই সুবাদে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে ছিল সখ্যতা। তবে মেয়াদ তিন মাস পার হলেও কেন কার্যক্রম আগের মত। এবি প্রতিষ্ঠান ও এর কোন জবাব দেয়নি আদালতে। এ বিষয়ে এবি ট্রোডিং ইন্টারন্যাশনাল এর পরিচালক মোঃ আলামিন বলেন, আমি আপনার সাথে পরে কথা বলতে চাই। এখন আমার পাশে অনেক মানুষ রয়েছে। এ বিষয়ে পূর্বের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিএর এস এর পরিচালক মোঃ গিয়াসউদ্দিনের ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের ব্যবহৃত ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার তাপস বলেন, আমরা বেতনের জন্য বেশ চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মোঃ সাইফুল স্যার পরিচালক স্যার খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক স্যারের কাছে ফরওয়ার্ডিং চেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, আদালতে মামলার কারণে বেতন আটকে আছে। গরীব মানুষ আমাদের হাসপাতালে সেবা দিচ্ছে। আমি কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ে চিঠি দিয়েছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের থেকে যে নির্দেশনা দিবে সেই ভাবে কাজ করব।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button