খুন, সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# ১২ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী ইউনিট প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর পর্যন্ত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্ব বিকিয়ে দিয়ে একটি পার্শ্ববর্তী দেশের গোলামীতে আবদ্ধ করেছিল। দীর্ঘ দিন তারা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই বিক্ষুদ্ধ জনতার আন্দোলনের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছিল। খুন, সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনসমুহ আজ নিষিদ্ধ । তাই আমাদেরকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রোববার (১৮ মে) সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ১২নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় কার্য়ালয়ে ইউনিট প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
১২ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, জামায়াত নেতা হেমায়েত উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শুকুর, সৈয়দ আজাদ আহমেদ, মোফাজ্জেল হোসেন, খান আমানুল্লাহ রাজা, মজিবুর রহমান বাবুল, আব্দুল্লাহ ফয়সাল, মনিরুজ্জামান সাগর, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল হালিম, মো. জাকারিয়া, ইফরান হোসেন তুষার, ইমরান হোসেন টিটু, তাওহিদুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন বাবু, আরমান হোসেন, শ্রমিক নেতা বেবি জামান, ছাত্রশিবির নেতা মুহতারম বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। অতীতে যারা শাসন করেছে তাদেরকে আর এ দেশের মানুষ চায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াত ছাড়া আর কোন ভরসার স্থান নেই। ইসলাম-ই একমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কাগজে-পত্রে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ পালিয়েছে। পালানো দলই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কার্যত তারাই নিষিদ্ধ দলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের পর আমাদের যে বিজয় হয়েছে তা চূড়ান্ত বিজয় নয়। ইহকালীন বিজয় অর্জনে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় এ দুনিয়ায় নয়। চূড়ান্ত বিজয় হলো শেষ বিচারের দিন জান্নাত লাভ।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন কঠিন হবে। ফ্যাসিস্টরা বসে নেই। ওরা ওঁৎ পেতে আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। কারণ ইতিহাস বলে পলাতকরা কোনদিন ফিরে আসতে পারেনি। সংসদে সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এ অবস্থান তৈরী করতে ইউনিটগুলোকে দৃঢ় মজবুত, সুসংহত করতে হবে। ইউনিটই হলো জামায়াতী জিন্দেগীর প্রবেশদ্বার। সংগঠনের নির্দেশ মোতাবেক কর্ম সম্পাদনের পরই আদর্শ ইউনিট বলে বিবেচিত হবে।#