দাকোপে মুহুতেই ঢাকি নদী গর্ভে বিলিন একশ মিটার বাঁধ

# আতঙ্কে গ্রামবাসী #
দাকোপ প্রতিনিধি ঃ
গভীর রাতে চোখের সামনেই দাকোপে মুহুতেই ঢাকি নদী গর্ভে বিলিন এক শত মিটার বাঁধ, আতঙ্কে গ্রামবাসী। নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে তলিয়ে যাওয়ার কৃষকের হাজারো হেক্টর আমন ফসলের জমি ধান নষ্ট হওয়া আশংঙ্কা রয়েছে।
৮ অক্টোবর বুধবার সরজমিনে ঘুরে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায় , মঙ্গলবার গভীর রাতে খর¯্রােতা ঢাকি নদীর প্রবল জোয়ার তোড়ে উপজেলার পাউবোর ৩১নং পোল্ডারের ৭নং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুৃনিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে হরি মন্দিরের সামনে পাউবো’র বেড়িবাঁধের প্রায় একশত মিটার বাঁধ ঢাকি নদীতে সম্পূর্ণ ভাবে বিলীন হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া রবেন বালা, সঞ্জিত বালা, তারাপদ বালা, প্রদীপ বালা,সুরঞ্জন বালা, সঞ্জয় সরদারসহ অনেকে তাদের বসতঘর বাড়ি ও নানা স্থাপনা রক্ষার্থে তা ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি এখনো পর্যন্ত আটকানো সম্ভব না হয়নি। ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় তলিয়ে গেছে কৃষকের হাজারো হেক্টর আমন ফসলের জমি। এ সময় স্থানীয় শতাধিক বসতঘর বাড়ির ভিতরে পানি ঢুকে পড়তে দেখা গেছে। বাঁধটি এখনো পর্যন্ত আটকানো সম্ভব না হওয়ায় গ্রামবাসীর আতংঙ্ক কাটছে না।
এলাকার স্থানীয় সচেতন মহলের বেশ কয়েকজন জানান,গত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বটবুনিয়া বাজার এলাকার প্রায় এক হাজার মিটার বেড়িবাঁধ। ওই সময় পাউবো কর্তৃপক্ষ এ বাঁধটি রক্ষার্থে মেসার্স মতিন এন্টার প্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নদীতে ডাম্পিং ব্যবহারসহ বালু ভর্তি টিউব ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ পায়। তখন স্থানীয় অনেক জমির মালিকরা এ বিকল্প বাঁধ নির্মাণে তাদের কৃষিজমি ছাড়তে বা জমি থেকে মাটি দিতে রাজি হননি। গত ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে নির্মিত বাঁধের প্রায় ১শত মিটার বাঁধ ঢাকি নদী গর্ভে আবারও বিলীন হয়েছে।
তিলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জালাল উদ্দিন বলেন, আশাকরা হচ্ছে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু হবে। ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এবং টিউব ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তিনি অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাঁধের উপর কৃষকের জমি থেকে মাটি নিতে বাঁধা এ বিষয়ে আমার জানানেই।
পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান,৩১নং পোল্ডারের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় জনবল ও সারঞ্জমাদি নিয়ে বটবুনিয়া বাজার এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি আটকানোর কাজ শুরু করবেন। ইতিমধ্যে সেখানে ডাম্পিং ও বালু ভর্তি টিউব ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় মাটির জন্য স্থানীয় কৃষকদের জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় দুই একজন কৃষকের বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন বলে জেনেছি।
এ দিকে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসমত হোসেনের নেতৃত্বে থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম ভাঙ্গন এলাকায় অবস্থান করে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মানে চেষ্টা করছেন। এ সময় নদীর পানিতে বসতবাড়ি প্লাবিত হওয়ার প্রায় ৫০টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবারে প্যাকেট বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।