শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের গণজামায়েত ২৯ নভেম্বর

প্রবাহ রিপোর্ট : বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি প্রতিহত করতে আগামী ২৯ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে গণজামায়েত এবং গণমিছিলের ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। পাশাপাশি ১ ডিসেম্বর জাতীয় যাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অবস্থায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বস্ত্র শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করার জন্য ১৭ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে। সারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন দমনের জন্য ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে। ২০০৩ সালে ২ জন গার্মেন্টস শ্রমিককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছিলো। আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৫ পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে, পিটিয়ে, কুপিয়ে ৯২ জন ড্রাইভার, ১৭ জন পুলিশ, ৩ জন বিজিবি জোয়ান, ২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন ব্যাংক কর্মচারী, বীমা কর্মচারী, গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সাচালক, হকার, ফল ব্যবসায়ী অসংখ্য নারী ও শিশু হত্যা করেছে। প্রায় এক হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে এবং তিন হাজার গাড়ি ভাংচুর করেছে। রেল গাড়ি পুড়িয়েছিলো। রেল লাইন উপরে ফেলেছিলো। বিএনপি-জামাতসহ যে সব দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, আমরা আগামী ২৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় মতিঝিল বক চত্ত্বরে গণজামায়েত ও গণমিছিলের আয়োজন করছি এবং ১ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় জাতীয় যাদুঘরের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আলোচনা সভার আয়োজন করছি। সর্বস্তরের ও সকল শ্রেণী পেশার জনগণকে বিএনপি জামাতের আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এই গণজামায়েত ও গণমিছিলে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।