রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় লেগুনার ৪ যাত্রী নিহত

প্রবাহ রিপোর্ট : রাজধানীর ডেমরায় বাসের ধাক্কায় লেগুনার চার যাত্রীর প্রাণ গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ডেমরা পাইটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিন জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- আসিফ হুসাইন সুমন (২৮), শামসুন্নাহার (৫২) ও কিশোরী উম্মে হাবিবা (১১)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত পোদ্দার। তিনি বলেন, নিহত আসিফ হোসেন ডেমরার তালতলা এলাকায় থাকতেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। তার বাড়ি রাজশাহীতে। নিহত শামসুন্নাহারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার কুতুবপুর এলাকায়। আর কিশোরী উম্মে হাবিবার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থানার সন্ন্যাসীর চর গ্রামে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। সকালে ডেমরা-গুলিস্তান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লেগুনাটিকে ধাক্কা দিলে তিনজন নিহত হয় এবং তিনজন আহত হয়। প্রথমে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। পরে সিআইডির ক্রাইম সিন এসে নিহত কিশোরীর পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর আরেক নিহতেরও পরিচয় জানা যায়। পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত পোদ্দার জানান, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে আহত এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে ক্রাইম সিন। আহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন। আহত ওই ব্যক্তি জানান, তিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকেন। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। সকালে অফিসের কাজে বের হন। ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে লেগুনায় ওঠেন তিনি। নামার কথা ছিল মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে। পথে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেন, লেগুনায় ১৪-১৫ জন যাত্রী ছিলেন। যারা পেছনে বসেছিলেন, তাদেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে। এদিকে নিহত সুমনের স্ত্রী রিমা বিশ্বাস জানান, আসিফ হোসেন রাজধানীর সারুলিয়া শাখার আইএফআইসি ব্যাংকে অ্যাকাউন্টস বিভাগে টিএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনিও এনআরবি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখায় কর্মরত। সকালে অফিসে যাওয়ার পথে তার স্বামী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে তারা ঢামেকে এসে লাশ শনাক্ত করি। এসময় নিহতের মা ফেরদৌসী বেগম উপস্থিত ছিলেন।