জাতীয় সংবাদ

রাজাকারের তালিকার বিষয়ে দুই ভাগে কাজ করা হচ্ছে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রবাহ রিপোর্ট : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকার বিষয়ে দুই ভাগে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে তাদের নিয়ে এবং আরেকটি হলো জীবন বাঁচানোর জন্য যারা রাজাকার হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন তাদের নিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের যে সমস্ত কাজকর্ম চলছে, যেমন- বদ্ধভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সে সমস্ত কাজকর্ম যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে, বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজাকারের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের পক্ষে ছিল এমন মানুষের নাম তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল। এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। তিনি বলেন, একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না। এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে। কাজেই এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করবো। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, রমজান মাসের পরেই শিডিউল ঘোষণা করা হবে এবং মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এর মধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি (১টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ১টি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং ১টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ২টি। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয়: ১টি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button