গরমে কালো কোট-গাউন পরতে হবে না বিচারক-আইনজীবীদের

প্রবাহ রিপোর্ট : গরমের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারক-আইনজীবীদের প্রচলিত পরিধান নীতি স্থগিত করা হয়েছে। ফলে মামলার বিচারিক কাজ চলার সময় বিচারক-আইনজীবীদের আপাতত কালো কোট ও গাউন পরতে হবে না। গত ৪ এপ্রিল রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর দেওয়া এক বিজ্ঞিপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। চলবে এ সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত। চলমান তাপ প্রবাহের মধ্যে আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সকল দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত/ট্রাইব্যুনালসমূহের বিজ্ঞ বিচারক এবং বিজ্ঞ আইনজীবীগণ ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। গরমে আদালতে বিচারক-আইনজীবীদের প্রচলিত পরিধান নীতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন আইনজীবীরা। প্রচলিত পরিধান নীতি পরিবর্তন করে তা স্বস্তিদায়ক করতে ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে আবেদনও করা হয়। গত বছর ১১ মে দুপুরে ঢাকার আদালতসংলগ্ন এলাকায় শফিউল আলম নামের এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। গরমে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে দাবি তাঁর সহকর্মী আইনজীবীদের। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীদের ভাষ্য ছিল, ওইদিন দুপুরে আইনজীবীদের নির্ধারিত পোশাক পরে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে একটি মামলার শুনানি করে শফিউল আলম। পরে তিনি তার চেম্বারের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকা বারের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ আইনজীবীর মত্যুর পর প্রধান বিচারপতি সহকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সে আলোচনার পরই গত বছর ১৩ মে প্রচলিত পরিধান নীতি স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিচারক-আইনজীবীদের প্রচলিত পরিধান নীতি স্থগিত করে কালো কোট-গাউন পরা বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর আবার প্রচলিত পরিধান নীতিতেই ফেরে বিচারক-আইনজীবীদের পোশাক।