জাতীয় সংবাদ

মধ্যরাতে ঢাবির হলে আগুন, শিক্ষাথীদের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

প্রবাহ রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রধান ভবনের (মেইন বিল্ডিং) ২৫০ নম্বর কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটা নাগাদ এই অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটে। পরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও পানির সাহায্যে শিক্ষার্থীরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে হল প্রশাসন। হল সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে ওই রুমে সব শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন। তবে আগুনে শিক্ষার্থীদের বই, সার্টিফিকেট, তিনটি ট্রাঙ্ক, টেবিল চেয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে একই ব্লগে থাকা হলটির প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে রুমটির তালা ভেঙে আমরা পানি আর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনি। এর মধ্যেই তিনটি ট্রাঙ্কসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বই, খাতা, কাপড় পুড়ে যায়। তিনি আরো জানান, রুমটিতে চারজন থাকতেন। এর মধ্যে দুজনের কাগজপত্র পুড়ে গেছে। যোগাযোগ করা হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও রুমটির আবাসিক শিক্ষার্থী আইয়ুব মোড়ল বলেন, রুমের আমরা সবাই বাড়িতে ছিলাম। আগুন লেগে রুমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। লাগেজ, ট্রাঙ্ক, বিছানা সব নষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি সেখানে গেছি। ফায়ার সার্ভিসকেও বলা হয়েছিল এবং তারা এসেছিল। তবে তার আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে রুমটিতে শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা ও ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতা থাকলে হল অফিসে রিপোর্ট করতে হয়, হলে ইলেকট্রিশিয়ান আছে। তারা ঠিক করে দেবে। তিনি বলেন, ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে রুমের কোথায় কী আছে সেসব গুছিয়ে যাওয়াও তো শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। এখন তাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা তো পুষিয়ে ওঠা বেশ কষ্টের। অনেকের তো সার্টিফিকেটও পুড়ে গেছে। বিষয়টি আসলেই কষ্টের। এ সময় ছুটিতে বা রুম থেকে বাড়িতে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদেরকে রুমের লাইট, ফ্যান ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা ও সার্বিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button