ইসরায়েলি সেনাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ এবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কুখ্যাত ইউনিট নেতজাহ ইয়েহুদা। ইহুদিবাদী এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ইউনিটটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আর্থিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবে না। অনুসন্ধানী সাংবাদিকা বিষয়ক সংস্থা প্রোপাবলিকা গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল কয়েক মাস আগে দখলদার ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট ইউনিটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মতামত দেয়। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এই উগ্র সেনা ইউনিটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে মার্কিন প্রশাসন। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর তারা ফিলিস্তিনের ভূখ- দখল করে সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন শুরু করে। এই অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে পশ্চিমতীরে সবসময় সংঘর্ষ লেগে থাকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, উগ্রবাদী-অবৈধ বসতিস্থাপনকারী যেসব ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যান্য ইউনিটে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় না তারাই ‘নেতজা ইয়েহুদাতে’ যোগ দেয়। মার্কিন এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলছে, তাদের সেনাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা। এদিকে, নিষেধাজ্ঞার এই মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত হবে না। আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসী দানবদের সঙ্গে লড়াই করছে। ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচও মার্কিন পরিকল্পনার নিন্দা করেছেন। গভির বলেন, আমাদের সেনাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।