জাতীয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা আজ

প্রবাহ রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় পার্টিতে কী হয়েছিল, তা জানাবেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নানামুখী সমালোচনামূলক কর্মকা-ের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সবিস্তারে ব্যাখ্যা করবেন বিরোধীদলীয় এই নেতা। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে (রমনা) অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নিয়েও নির্দেশনা দেবেন জিএম কাদের। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জিএম কাদের বলেন, আমরা নির্বাচনের আগেও বর্ধিত সভা করেছিলাম। এখন আবার করছি। আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছিলেন। সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দল নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলো সম্পর্কে কথা বলবো। ‘কী হয়েছিল, সামনে কী হবে, আমাদের কী করণীয়’ এসব নিয়ে আলোচনা হবে বর্ধিত সভায়, জানান জিএম কাদের। বিগত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির মনোনয়নবঞ্চিতদের দাবি ছিল, সরকারের সঙ্গে ‘সম্পর্ক করেই’ বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছেন জিএম কাদের। আসন নিয়েও সমঝোতা করেছিলেন জাপা চেয়ারম্যান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রওশন এরশাদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘এমন একজন আছেন, যার কাছে দলের চেয়ে বউ বড়’। অবশ্য এমন বক্তব্যের পরই দল থেকে বহিষ্কার হন বাবলা। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্টন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি অংশের সূচনা হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জিএম কাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি প্রথমবারের ভাঙনের মুখে পড়ে। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাপায় এ নিয়ে অন্তত ছয় বার বিভক্তি হয়েছে। জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে-পরে দল নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচনের সময় অনেক কিছু হয়েছে। সেগুলো আমরা ইভালুয়েশন করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো। শনিবার বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের মতামত শুনে তাদের উদ্দেশে আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেবেন জিএম কাদের। বিরোধীদলীয় নেতা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করছেন, তা ওয়ান পার্টির চর্চা। এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোনও রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকবে না। এতে করে দেশে চরমপন্থার উত্থান হবে। আমি সংসদেও বলেছি, এখন যেভাবে ওয়ান পার্টি রুল চলছে, তাতে জাতীয় পার্টি, বিএনপি কেউ থাকবে না। ‘শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিও থাকবে না’ যোগ করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক রাজনীতি না থাকলে কোনও দলই টিকবে না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্রও থাকবে না। অস্বাভাবিক রাজনীতির উত্থান হবে। চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, এখন তো জয় হয় শুধু একজনের। সাধারণ মানুষের নির্বাচনের উপর থেকে আস্থা কমে যাচ্ছে। এজন্য অনেকে অগ্রসর হয়েও আবার পিছিয়ে গেছেন। উপজেলা নির্বাচনে সীমিত পরিসরে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রয়েছেন। বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ করেন, তবুও আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। দেখতে চাই সরকার কোনও পরিবর্তন করে কিনা। এটুকু আশা তো থাকতেই হয়। আশা ছাড়া তো মানুষ বাঁচতে পারে না। উল্লেখ্য, বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানিয়েছেন, শনিবার অনুষ্ঠেয় বর্ধিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপির পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button