দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে: সেলিমা রহমান
প্রবাহ রিপোর্ট : দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আমরা এক অনিশ্চয়তার দিকে ছুটে চলছি। দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি-বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম এ আয়োজন করে। সেলিমা রহমান বলেন, জনযুদ্ধের মাধ্যমে ৫২ বছর আগে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর আমাদের যা চাওয়া ছিল, তা আমরা পাইনি। বাংলাদেশের ন্যায় ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, কথা বলার অধিকার, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। তিনি বলেন, আজ নানা দিক থেকে আওয়াজ উঠছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বলছে, এই সরকারের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। চারিদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। মেধার কোনো দাম নেই। দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে, লবিংয়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস করে শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিত করে ফেলছে। ঢাকার জলাবদ্ধতার প্রসঙ্গ টেনে সেলিমা রহমান বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, সিটি করপোরেশন কাজ না করে ৭০০ কোটি টাকা লুট করেছে। গত শুক্রবার ঢাকা শহর ডুবে গেলো। কেন ডুববে না, আজ খাল-নদী জলাশয় সবকিছু দখল করে নিয়ে রিসোর্ট, ঘর-বাড়ি নির্মাণ করেছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি বা তাদের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা। এমপি হলেই পাঁচ-ছয়টা বাড়ি করতে হবে, কোটি কোটি টাকা আয় করতে হবে। এই হলো বাংলাদেশের অবস্থা। ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেত্রী বলেন, ভারত তিস্তার পানি দিচ্ছে না, পানির অভাবে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়। অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করতে পারছি না। অথচ প্রধানমন্ত্রী তিস্তা প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তির কারণে বাংলাদেশ গোলামি রাজ্যে পরিণত হবে। এই চুক্তি দেশের জনগণ মেনে নেবে না। ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে অসম উল্লেখ করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ চুক্তি বাতিল করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রাষ্ট্রচিন্তক ও বাংলাদেশ ইউথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন- বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, বিলকিস ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, ইউসুফ আলী প্রমুখ।