জাতীয় সংবাদ

বিটিভি ভবনে আগুন : শিমুল বিশ্বাসসহ সাতজন ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রবাহ রিপোর্ট : বিটিভি ভবনে আগুনের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সাতজনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম রিমান্ডের এই আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশীদুজ্জামান মিল্লাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম। তারা অন্য মামলায় এর আগে রিমান্ডে ছিলেন। গতকাল সোমবার তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন সিকদার। আসামিপক্ষে কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ১৮ জুলাই বিটিভির রামপুরা অফিসে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার। মামলায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারাসহ পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে ডিআইটি রোডগামী রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এরপরই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা তিন-চার হাজার কর্মীরা বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। আসামিরা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ঘাতমূলক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণির কেপিআইভুক্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা সরকারি মালামাল ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করে। যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি রাত ৯টার দিকে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button