সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমারের সীমানা থেকে গুলি : নিহত ১
প্রবাহ রিপোর্ট : বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে গুলি করা হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ওসমান নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিন জেলে। এ ছাড়া ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ চারটি ট্রলার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেগুলো ছেড়ে দেওয়ারও খবর পাওয়া যায়। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকাধীন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, গত বুধবার দুপুরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারগুলো এ ঘটনার শিকার হয়। এজন্য মিয়ানমারের নৌবাহিনীকে অভিযুক্ত করছেন ট্রলার মালিকরা। নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে ও দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত তিন জেলেও ওই ট্রলারের। তবে আহতদের নাম-পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধরে নিয়ে যাওয়া অপর চারটি ট্রলারের মালিকরা হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ ও তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলার চারটিতে ৬০ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছেন। ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করেন। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত ও আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। লাশ নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর চারটি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।