জাতীয় সংবাদ

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রবাহ রিপোর্ট : কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই আইনের অধীনে করা কাজ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং চুক্তি করার বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম শুনানি করেন। এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনটি ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর প্রণয়ন করা হয়। আইনের ‘পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার’-সংক্রান্ত ৬(২) ধারা ও ‘আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা’-সংক্রান্ত ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম গত আগস্ট মাসে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সংবিধানের নির্দেশনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ওই আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সেই এই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় ৩, ৫ ও ১৬ বছর মেয়াদি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ওই কেন্দ্রগুলো স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুতের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকা- বাড়ছে বলে দাবি করছিল বিগত সরকার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button