জাতীয় সংবাদ

খুলনায় সূর্যের দেখা মেলেনি : থাকবে আরও দু-একদিন

# শীতের তিব্রতা বাড়ছে #
# সর্বনি¤œ তাপাত্রা কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

কে এইচ মনি :
ভোর থেকেই ঘনকুয়াশা। তারপর সারাদিন মেঘলা আকাশ। সারা দিনই মেলেনি সূর্যের দেখা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে কন কনে ঠান্ডা বাতাস। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিববারণের চেষ্টা হতদরিদ্র মানুষের। গতকাল শুক্রবার দুপুর ৩টার পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিলো কুমারখালীতে (কুষ্টিয়া) ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনার আবহাওয়াবীদ বলছে এরকম আবহাওয়া আরও দুই-একদিন থাকার সম্ভবনা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘিœত হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। শুক্রবার সরকারির ছুটির দিন থাকা সত্বেও নেই বিনোদন স্পষ্ট নগরীর ৬নং ঘাটের লোকের সমাগম।
খুলনার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো: মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বনি¤œ তাপাত্রা রেকর্ড করা হয় কুমারখালীতে (কুষ্টিয়া) ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া খুলনায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ান, যশোরে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি, মোংলায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও কয়রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত একদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিনের তুলনায় খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা গড়ে ২ থেকে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিস সুত্র মতে, শুক্রবার খুলনায় ও চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমান ছিলো শতকরা ৯৪ ভাগ। এছাড়া কুমারখালীতে ৮৮ ভাগ ও খুলনার কয়রা উপজেলায় বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমান ছিলো শতকরা ৯৪ ভাগ। এদিকে আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে বিনোদন স্পষ্ট হিসেবে পরিচিত খুলনা মহানগরী ৬নং ঘাটে বিকেলে লোকের সমাগম ছিলো খুবই কম। ঘাটে বাদাম বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, প্রতি শুক্রবার ছুটি থাকায় মেম সাহেবরা এখনো ঘুরতে আসেন। নৌকা ভাড়া করে চড়েন। ঘন্টাখানেকের মধ্যে বাদাম বিক্রি হতো ১ হাজার টাকার মতো। এখন বাজে বিকেল সাড়ে ৩টা। আরেকটু পড়ে দেবে আছরের আযান। কিন্তুর লোকের সেইরকম দেখা মিলছে না। শীতের কারণে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। যার কারণে অন্য শুক্রবারের তুলনায় এখানে লোক নেই বললেই চলে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। প্রচ- ঠান্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোর থেকে প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। শীতের ফলে স্বাভাবিক কাজ-কর্মে নেমে এসেছে অলসতা। এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া- দিনমজুর মানুষেরা মুখোমুখি হচ্ছেন অসহনীয় কষ্টের। খড়কুটো জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। অনেকে অল্প টাকায় গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতে দোকানগুলোতে।
নগরীর ফুজিকালার এলাকার বাসিন্দা মুজিবর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button