আহলান সাহলান মাহে রমজান

হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়, রমজানের দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতময়। অর্থাৎ দ্বিতীয় দশকে মহান আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহতায়ালা বান্দাদের সারা বছরই ক্ষমা করে থাকেন। তবে রমজানের দ্বিতীয় দশকে ক্ষমা করেন ব্যাপকভাবে। তাই এই সময়ে রোজাদারদের উচিত গুনাহ মাফ চাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। ইসলামে মাগফিরাত তথা ক্ষমাপ্রার্থনার গুরুত্ব অনেক। এ মাসে যখন একজন রোজাদার ব্যক্তি নেকি ও পুণ্যের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান এবং মাগফিরাতের দশ দিন যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবে মহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন।
মহান আল্লাহর অসংখ্য গুণাবলির মধ্যে অন্যতম গুণ ‘গফুর’ বা ক্ষমাশীলতা। বান্দা যেন সারা বছরের গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে সেটার জন্য মহান আল্লাহ রমজানের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন। রমজানের দ্বিতীয় দশ দিনে আমাদের করণীয় হলো, আল্লাহর সর্বোচ্চ ক্ষমা লাভের জন্য তওবা করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করে থাকো, তাহলে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব। (তিরমিজি) রমজান মাসের দ্বিতীয় দশ দিন আল্লাহর দরবারে মাগফিরাত কামনা করলে, গরির দুঃখীদের মধ্যে দান-সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে, নিজে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, তসবিহ-তাহলিল, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করে নেবেন। মাগফিরাতের এই দশ দিন পেয়েও যারা আল্লাহর কাছ থেকে নিজের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করবে না, তাদের মতো হতভাগা আর কেউ নেই।