খেলাধুলা

এবার যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বে স্টুয়ার্ট ল

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব শেষে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত হওয়ার আলোচনায় ছিলেন স্টুয়ার্ট ল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। নতুন কিছুর জন্য খুব অপেক্ষাও করতে হলো না তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ জাতীয় দল ও যুব দলের সাবেক এই কোচ নতুন অভিযান শুরু করবেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে তার কোচিংয়ে যুব বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। পরে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হতে আবেদন করেছিলেন তিনি। তার নাম বিবেচনায়ও ছিল বেশ ভালোভাবেই। শেষ পর্যন্ত যদিও দায়িত্বটি পাননি তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় দলে তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন আগে। তার কোচিংয়েই ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। চুক্তির মেয়াদ শেষ না হলেও সেবার দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি পারিবারিক কারণে। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি, ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কা ও আফগাস্তিান দলে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ, অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার অব এক্সিলেন্সে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও তার আছে। এখন তার কোচিংয়ে জুনে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন দায়িত্বে কাজ শুরু করতে তাই মুখিয়ে আছেন ৫৫ বছর বয়সী কোচ। “এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা দারুণ রোমাঞ্চকর এক সুযোগ। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলির একটি এবং আমার বিশ্বাস সামনের পথচলায় সমীহ জাগানিয়া একটি স্কোয়াড আমরা গড়তে পারব।” “আপাতত প্রথম কাজ হবে বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দলকে তৈরি করা এবং এরপর আমাদের দৃষ্টি থাকবে দেশের মাঠে বিশ্বকাপে, যা হবে বিশাল এক ব্যাপার।” অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নব্বইয়ের দশকে একটি টেস্ট ও ৫৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ল। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হওয়া অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন তিনি। তার প্রজন্মের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানদের একজন মনে করা হয় তাকে। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে মৌসুমের পর মৌসুম রানের প্লাবন বইয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৯ সেঞ্চুরিতে ৫০.৫২ গড়ে ২৭ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২০ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন প্রায় ১২ হাজার। কিন্তু ওই সময়ের তারকায় ঠাসা অস্ট্রেলিয়া দলে সেভাবে সুযোগ পাননি। ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট তিনি খেলতে পেরেছেন শ্রীলঙ্কার কিপক্ষে ১৯৯৫ সালে পার্থে। স্টিভ ওয়াহ চোটে পড়ায় সুযোগ পেয়ে একমাত্র ইনিংসে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। পরের টেস্টে ওয়াহ ফিট হয়ে ফেরায় আবার বাইরে চলে যান ল। আর কখনও সুযোগ পাননি খেলার। ওয়ানডেতে সবশেষ সুযোগ পান ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগে। এরপর আরও ১০ বছর নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ও কাউন্টিতে খেলে গেছেন এবং রান করেছে প্রচুর। কিন্তু জাতীয় দলের ডাক আর আসেনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button