জাতীয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রবাহ রিপোর্ট : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল। গতকাল বুধবার হেয়ার রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায়, বাংলাদেশে ভুটানের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি, পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য ক্ষেত্র এবং হিমালয় রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্মে বাংলার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মাঝে ‘অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ’ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী হতে দেখতে চাই।’ ভুটানের রাষ্ট্রদূত ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যার সঙ্গে ভুটানের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। তিনি পিটিএ-তে আরও পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। কারণ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।’ রাষ্ট্রদূত কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের প্রশংসা করেন। ভুটান ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। তিব্বত, নেপাল ও ভুটানে কীভাবে বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষু ও প-িতরা বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেছেন তারও বর্ণনা করেছেন রাষ্ট্রদূত কুয়েনসিল। তিনি শান্তরক্ষিতের বিষয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত জানান শান্তরক্ষিত অষ্টম শতাব্দীর একজন সন্ন্যাসী, যিনি ছিলেন অতীশ দীপঙ্করের পূর্বপুরুষ। তিনি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। দুজনেরই জন্ম বাংলাদেশের আধুনিক মুন্সীগঞ্জ জেলায়। নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ শতকের প্রথম দিকে, বানারতœ, যিনি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি ভুটান সফর করেছিলেন এবং সেখানে একটি বুদ্ধের মূর্তি এবং একটি মঠ স্থাপন করেছিলেন। তিনি এখনও ওই রাজ্যের জনগণের কাছে সম্মানিত। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button