আবহাওয়া পরিবর্তনে বাড়ছে ঠা-া জ্বর, বিকল্প নেই সচেতনতা
দেশে আবহাওয়া ও দূষণগত কারণে ঠা-াজনিত রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে চলমান আবহাওয়ার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো ঠা-াজনিত অনেক রোগের প্রকোপ বাড়ে। খুব বড় কোনো সমস্যা না হলে যার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, নিজে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু এ বছর এর ব্যতিক্রম ঘটছে। চারদিকে বেড়ে গিয়েছে জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া করোনার অমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১ ও আশঙ্কাজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। চলমান মৌসুমে সাধারণত শুষ্ক কাশি বেশি হয়। অনেক সময় কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে আসার মতো পরিস্থিতি হয়, যা শিশুদের জন্য বেশি কষ্টকর। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ঠা-া লাগার পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে তা নিউমোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়। তবে, সব শিশুর ক্ষেত্রে এটা হয় না। প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, যা এখনো চলমান। অধিকাংশ রোগীদের ঠা-া-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও জ্বর থাকে। হালকা মাত্রার ঠা-া-কাশি থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভুগছেন। জ্বরের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রার জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের সুস্থ হতে এবং কাশি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসও লেগে যাচ্ছে। শিশু ও প্রবীণরা এই সময়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টস্বীকার করে থাকে। এসব রোগের প্রধান কারণ গুলোর একটি হলো বায়ুদূষণ। বছরের এই সময়টিতে প্রকৃতি শুষ্ক হয়ে ওঠে। বায়ুদূষণের কারণে নানানরকম হাঁচি-কাশি, অ্যাজমা, সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে হাঁপানির উদ্রেক বাড়ায়। একই সাথে বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড ও সালফার-ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সময়ে ফুসফুসের প্রদাহ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় সচেতনতার নেই কোন বিকল্প। যেহেতু ধীরেধীরে করোনার প্রকোপ তীব্র হচ্ছে তাই এই সময়ে মাক্স পরিধানের কোন বিকল্প নেই। যেহেতু এখন রমজান মাস তাই শুষ্কতা মোকাবেলা করতে সেহরি ও ইফতারে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সর্বোপরি সরকারকে জনসচেতনা তৈরির জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।