সম্পাদকীয়

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, নি¤œ আয়ের মানুষদের কী হবে?

পবিত্র রমজান এবং ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর নৃত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর মূল্য বৃদ্ধি পায়। প্রতিবারের ন্যায় এবারো রমজান এবং ঈদকে ঘিরে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো ঈদের পরেও এসব দ্রব্য মূল্য রমযানের মতই স্থিতিশীল রয়ে গেলো বরং কিছু কিছু পণ্যর দাম প্রতিনিয়ত আরো বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে নি¤œ আয়ের মানুষেরা আরো বেশি দুর্ভাবনায় পড়ছে। পত্র পত্রিকা খবর থেকে জানা যায়, বাজারে ঈদের পর নতুন করে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা ও কারওয়ান বাজারে মূলত সরবরাহের সংকটে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েছে। মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে দেশি রসুন প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ঈদের পর প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৬৭ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৮১৮ টাকা। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হওয়ার যুক্তি দেখিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেন বাড়ল? বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, চালের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রোজার আগে থেকে। এ ক্ষেত্রে মিলের মালিক ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কথা শোনা গেলেও সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায় না। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের অনেক গুলো ইশতেহারের মধ্যে একটি ইশতেহার ছিল দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা ইশতেহারের বিপরীত দিকেই হাঁটছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে। এখনো দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসে নাই। একজন স্বল্পআয়ের মানুষের পক্ষে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে। যার ফলে অতিরিক্ত চিন্তার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সরকার এই বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। বাজার সিন্ডিকেটদের দরে আইনের আওতায় আনতে হবে। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উৎসাহ জাগাতে হবে। অনাবাদি জায়গা যেন একটুও না থাকে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করতে হবে। এছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে দেশের সকল বাজার তদন্ত করে দেখতে হবে এবং সঠিক সমাধান করতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button