স্থানীয় সংবাদ

গোয়ালখালীতে অদ্ভুতাকৃতির সাপ উদ্ধার : কৌতুহলী জনতার ভিড়

অদ্ভুদ রং,আকৃতির সাপটি নিয়ে দিনভর ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ গেল শনিবার সকালে গোয়ালখালী রশিদিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গন এলাকার কবরস্থান থেকে একটি রহস্যময় অদ্ভুদ আকৃতির সাপ উদ্ধার করেছে কবরস্থানের দায়িত্বরত কর্মচারী আব্দুল সাত্তার। এরপর থেকে এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের ভিড় জমতে থাকে মাদ্রাসা চত্বর এলাকায়। সাপটি সব সময়ে ফেনা মেলে ছিল। এছাড়া কালো আর মাথায় এক অদ্ভুদ আকৃতির রং। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকে ভেবেছিল এটা কোন বিরল প্রজাতির সাপ। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খন্দকার আরিফুর রহমান সজিব বলেন, আমি লোক মুখে জানতে পারি একটি অদ্ভুত আকৃতির সাপ উদ্ধার হয়েছে মাদ্রাসা থেকে। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি ঘটনাটি সত্য। সাপটিকে একটি প্লাস্টিক বোতলে রাখা। সাপটির সারা গায়ে এক অদ্ভুদ আকারে রং এছাড়া সে চুপচাপ থাকেলেও তার ফেনা মেলে থাকে। আমি ঘটনাটি সম্পর্কে আমার এক চাচাকে বলি। তাৎক্ষনিক চাচা খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষন অধিদপ্তরকে অবগত করে। এর ঘন্টাখানিক সময়ে পরে। খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে সাপাটিকে কিং কোবরা বলে চিহ্নিত করে। এখন সাপটি আছে খুলনা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে। এবিষয়ে খুলনা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ শাহীন বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে সাপটিকে ভেবেছিলাম এটি কিং কোবরা। সাপটি একটি অদ্ভুদ রং ও আকৃতির থাকার কারণে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করি । সেখান থেকে সাপটিকে বিভিন্ন পরীক্ষা করে জানাগেছে এটি পদ্ম গোখরা। এই সাপের অনেক বিষ থাকে। এই সাপ যদি কোন মানুষকে কামড় দেয় আর এই সাপে কামড়ানো মানুষ যদি দ্রুত সাপের এন্টিভেমিন শরীরে প্রয়োগ না কওে, তাহলে দুই ঘন্টার মধ্যে তার মৃত্যু ঘটতে পারে। এছাড়া এসব সাপের বাচ্চাতে প্রচুর বিষ থাকে। যা বড় সাপের থেকে তিন গুণ। যারা সাপটিকে উদ্ধার করেছে তারা জানতনা যে এই সাপের শরীরে এত বিষ আছে। যদিওবা এই ধরণের সাপ আমাদের দেশে সচরাচর দেখা পাওয়া যায়। এখন আমাদের রেস্কুই বিভাগে আছে। আমাদের কাছে আরও দুইটি সাপ আছে মোট তিনটি সাপ আমরা সুন্দরবন নিয়ে যেয়ে অবমুক্ত করব। পাশাপাশি বলব যে জায়গাটি থেকে এই সাপটি উদ্ধার হয়েছে তার আশে পাশে আরও এই ধরণের সাপ থাকাটা স্বাভাবিক। সবাইকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। এধরণের কোন সাপ বা অন্য কোন বণ্যপ্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেলে আমাদের খুলনা বণ্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করবে। যেন কেউ আঘাত বা অন্য কিছু করে মেরে না ফেলে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button