স্থানীয় সংবাদ

শীতে জেঁেক বসছে : খুলনায় চাহিদা বাড়ছে গরম কাপড়ের

বাড়তে পারে শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ

শেখ ফেরদৌস রহমান : খুলনায় হঠাৎ শীত যেন জেকে বসতে শুরু করেছে শীত। আর সেই সাথে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা । যে কারনে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে নগরীতে। এদিকে খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, উত্তরের বাতাসের কারণে শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। মাসের শেষ দিকে এর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। সেই সাথে ঘন কুয়াশা হতে পারে যা চলবে ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ নাগাদ। গতকাল খুলনায় সব্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক। তবে নতুন বছরে শীতের পোশাক আগের বছরের শীতের তুলনায় দাম একটু বেশি থাকায় অনেক শ্রমজীবি ও দিন মজুরদের ক্রয় করতে যেয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ডাকবাংলা, জব্বার মাকের্ট, হকার্স মার্কেট, দৌলতপুর, ফুলবাড়ীগেট, ময়লাপোতা, রূপসাসহ বিভিন্ন বিপনী মার্কেট ছাড়াও ফুটপাতে বা ভ্রাম্যমান ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে গরম কাপড়। ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা গোলাম জাবিউল বলেন এই ফুটপাত মার্কেট গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত। এখানে সকল প্রকারের মানুষ তার পছন্দ মতো গরম কাপড় কিনতে পারেন। কাপড়গুলোর দাম হাতের নাগালে থাকায় সবাই সাধ্যমতো গরম কাপড় কিনতে পারেন। তবে এবছর হঠাৎ শীত একটু আগে চলে আসার কারণে শীতের পোশাকের দাম একটু বেশি। নগরীর চিত্রালি বাজার ্এলাকার ফুটপাতে শীতের নানা পোশাক নিয়ে বসেছেন মো. রহিম উদ্দিন তিনি বলেন এ বছর ব্যবসা নাই বললেই চলে। শীতের মৌসুমকে কেন্দ্র করে দোকানে নতুন মালামাল উঠাতে পারেনি। গেল বছরের যেসব গরম কাপড় ছিল সেই কাপড় বিক্রি করছি। অল্প তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে শীতের পোশাক ক্রয় করতে কিছু কিছু ক্রেতা আসছে। সপ্তাহ খানেক আগে পর্যন্ত কোন ক্রেতা ছিলনা। এখন যদি কিছুটা বেচা কেনা হয়। আগামীতে যত শীতের প্রকোপ বাড়বে ঠিক ক্রেতা সমাগম ও বাড়বে। তবে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এবছর এখনও পর্যন্ত বেল্ট থেকে বা ইম্পোর্টের মালামাল আসেনি। গেল বছর বেল্ট ক্রয় করেছিলাম ৩৫-৪০ হাজার টাকার মধ্যে। এবছর ডলারের দামসহ সব ধরনের খরচ বেড়েছে দাম তো বেশি হবে। এছাড়াও বাজার,ফুটপাত ঘুরে দেখা যায় সর্ব নি¤œ ৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে গরম কাপড়। পাশাপাশি বড় বড় জমকালো শপিংমলে শীতের পোশোকের দাম একটু বেশি যেখানে সর্ব নি¤œ ৫০০ টাকা হতে পাঁচ হাজার টাকা প্রর্যন্ত দাম হাকাচ্ছে দোকানিরা । নগরীর ডাকবাংলা এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ি আবেদউল্লাহ বলেন, এবছর এখন ও শীতের ভাল মানের পোশাক সঙ্কট রয়েছে । তাছাড়া হঠাৎ শৈত প্রবাহ চলে আসায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে সেই সাথে বেড়েছে দাম। তাছাড়া এখন অনলাইনেও বেচা কেনা চলছে আমরা ও অনলাইনে বিক্রি করছি। কম্বলের দামও বেড়েছে (মার্কেট বা ফুটপাতে) গত বছরে থেকে। কম্বলের দাম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নগরীর ভ্রাম্ম্যমান হকার আলিম কাজী বলেন, আমার এখানে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু বড় মানুষদের শীতের কাপড় রয়েছে,আমি গ্রামে গ্রামে ভ্যানগাড়ীতে করে কাপড় বিক্রি করছি ছোট বাচ্চাদের শীতের কাপড় ৬০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত এবং বড়দের জন্য ও ৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া দেখা যায় লেপ, তোষকের দোকানগুলোও জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন লেপ, তোষক কিনতে ও পুরান লেপ-তোষক ভাঙ্গিয়ে নতুন করে বানাতে ক্রেতারা রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছেন। দোকানিরাও ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী লেপ- তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে শীত মোকাবেলায় মানুষ যার যার সাধ্য অনুযায়ী প্রস্ততি নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button