মোংলা বন্দর দিয়ে এই প্রথম আপেল আমদানির মধ্য দিয়ে হিমায়িত ফল আমদানির শুভ সূচনা

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের মোংলা বন্দর দিয়ে এই প্রথম ৫১ টন আপেল আমদানির মধ্য দিয়ে হিমায়িত ফল আমদানির সুত্রপাত হয়েছে। আমদানিকৃত আপেল বৃহস্পতিবার খালাস করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার মোংলা বন্দর কাস্টমস ও উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিসের প্রতিনিধি ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পণ্য চালানটি কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। গত ১২ ডিসেম্বর লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী এম. ভি মার্কস হাই ফং জাহাজে মেসার্স এশিয়ান ফ্রূটস (বিডি) লি: এই আপেল আমদানি করে। এশিয়ান ফ্রুটস (বিডি) লি: এর প্রোপাইটার বিএফএফআই সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ব্যবসায়িক স্বার্থে উক্ত আপেল আমদানি করেন। মোংলা বন্দরের মাধ্যমে এই প্রথম আমদানিকৃত হিমায়িত ফল ডেলিভারি প্রদানের শুভ সূচনা লগ্নে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত থেকে অংশীজনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শুভেচ্ছা বিনিময় কালে আরো উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, হারবার ও মেরিন, ক্যাপ্টেন মো: আসাদুজ্জামান, সদস্য, প্রকৌশল ও উন্নয়ন, ড. এ. কে. এম. আনিসুজ্জামান, পরিচালক ট্রাফিক কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী, কাস্টমস কর্মকর্তাগন, আমদানিকারকগন, বিএফএফআইএ- এর সভাপতি জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন। আমদানিকারক কর্তৃক মোংলা কাস্টম হাউস, মোংলা বন্দর, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ কাজে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বন্দর চেয়ারম্যান। বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে এক মেইল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। হিমায়িত ফল আনুষ্ঠানিকভাবে খালাসকালে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের চাবিকাঠি স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পর যোগাযোগ ব্যাবস্থা, বাবসা- বানিজ্য তথা সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগে ফেরি থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইতেন না। এখন যেহেতু ঢাকা ও মোংলার মধ্যে কোনো ফেরি নাই, তাই পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি – রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে। স্বল্প সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং, জেটি অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা।