কুয়েট কর্মচারী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
সভাপতি এরশাদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিব সরদার নির্বাচিত
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়(কুয়েট) কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অত্যান্ত উৎসবমুখর ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সুশংখল পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রথম বার ১৭টি পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৬জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী অংশগ্রহন করেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে সভাপতি পদে শেখ এরশাদ আলী এবং সারধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হাসিব সরদার নির্বাচিত। নির্বাচন কমিশনার সুত্রে জানাগেছে, সমিতির মোট ৪১৭ জন ভোটারের মধ্যে ৪০৯জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং যথারিতি বিকাল ৩টায় পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষে চলে ভোটগনণা এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় পর্যন্ত মোট ৪১৭ ভোটের মধ্যে ২শতটি ভোটগনণা করা হয়। এর মধ্যে সভাপতি পদে শেখ এরশাদ আলী ১৩০ ভোট পেয়ে এবং সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ হাসিব সরদার ১৪৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। এছাড়া সহ-সভাপতি দুইটি পদে মো শাহরিয়ার খান ও মোঃ আসাদুজ্জামান মোড়ল এগিয়ে ছিল। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান(হাবিব), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ স¤্রাট কাজী, কোষাধ্যক্ষ পদে হাফিজুর রহমান(পিএ কামঃকম্পি), ক্রীড়া, সহিত্য ও সাংষ্কৃুতিক সম্পাদক পদে হাফিজুর রহমান(টেকনিশিয়ান), প্রচার ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মোঃ শরিফুজ্জামান সুজন, সহ-প্রচার ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মোঃ আলামিন ফকির(বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়),দপ্তর সম্পাদক পদে এস এম নুরুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে রুমা খাতুন(বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়)এবং কার্যনির্বার্হী সদস্য ৫টি পদে মিঠুন কুমার দাশ, বেগ ফয়জুল্লাহ শিবলী, মোঃ জামাল হোসেন(নিরাপত্তা), মোঃ মাসুম মিজি এবং নার্গিস বেগম এগিয়ে ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ এম সাইফুল্লাহ জানিয়েছে, কুয়েট কর্মচারী সমিতির নির্বাচনে এই প্রথম বারের মতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিভিন্ন পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মোট ৪১৭ জন ভোটারে মধ্যে ৪০৯জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে এবং সকলের সহযোগিতায় অত্যান্ত সুশৃংখল ভাবে সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শান্তিপুর্ণভাবে গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ এবং ভোটগণণা শুরু করা হয় প্রার্থী এবং ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা করতে অনেক রাত হয়ে যাবে। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন আফরোজ আহমেদ ও মোঃ রোকনুজ্জামান।