স্থানীয় সংবাদ

পেঁয়াজ দাকানে ৯৫ টাকা কেজি আর ভ্যানে ৮০ টাকা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ পেঁয়াজ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। আবার ভ্যানে করে পাড়া-মহল্লায় হাকডাক ছেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এদিকে আড়ৎদাররা বলছে নতুন আগের উৎপাদিত পেঁয়াজ শেষ। নতুন করে পেঁয়াজ সরবারাহ এখনও শুরু হয়নি। যে কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ খরচসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ চাঁদাবাজির কারণ থাকতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। এ দিকে ভরা মৌসুমে কিভাবে এতদিন যাবৎ পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে এ নিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের ভাবনা। এছাড়া গেল দুই সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে হুট করে দাম বেড়ে যাওয়াতে বেশি বিপর্যস্ত হচ্ছে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষেরা। এ বিষয়ে কথা হয় বেসরকারী চাকুরীজীবি মোঃ মাসুম হোসেন’র সাথে তিনি বলেন, হুট করে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বর্তমান শীত মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদনের সময়। এসময়ে পেঁয়াজ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দেখেন একই ধরনের পেঁয়াজ দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। অথচ একই পেঁয়াজ পাড়া-মহল্লায় হাক-ছেড়ে বিক্রি করছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এমনকি দরদাম করলে আরও দুই কেজি ১৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা যায়। এছাড়া দেখেন গেল বছর ও ঠিক এমন সময়ে ৪০ টাকার উপর কেজি ছিলনা কোন পেঁয়াজ কম দামে পেয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। আমরা কিনেছি কম দামে। তবে এবছর কেন এত সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে পেঁয়াজের প্রতি। এ বিষয়ে আমিরা সাধারণ মানুষেরা কি বলব? আমাদের উপর বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আজকে যে পণ্য ক্রয় করছি ২০ টাকা দাম দিয়ে । আর হঠাৎ করে বড় বড় ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ডিম, চাল, তেল, চিনি সহ সব ধরনের পণ্যের দাম রাতারাতি বেড়ে যাচ্ছে। এর পিছনের বড় সিন্ডিকেটদের ধরে আইেেনর আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে কথা হয় দোকানদার মোঃ মুহসিন এর সাথে তিনি বলেন, ভ্যানে করে যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হয় সেগুলো একটু নি¤œ মানের থাকে। আমাদের কাছে যেসব পেঁয়াজ আছে এগুলোর গুনগত মান ভাল থাকে। আপনারা দেখেন যাচাই বাচাই করে কোন পেঁয়াজের গুনগত মান ভাল আছে। তবে, ভ্যানে করে পেঁয়াজ বিক্রেতা মোঃ আকবার বলেন, আমরা প্রতিকেজি পেঁয়াজ আড়ত ও পরিবহন খরচ সহ ৭৫ টাকা করে কেজি পেয়াজ ক্রয় করে। ভ্যানে করে ৮০ টাকা কেজি পেয়াজ বিক্রি করছি প্রতি কেজি।এরপরও ক্রেতারা খুটে ভাল,ভাল বড়,বড়,পেয়াজ বেছে নিয়ে যায়। আমরা বাজারা থেকে ছোট,বড়, পচা,ভাল সব পেয়াজ একই দামে ক্রয় করছি। এ ব্যাপারে টিসিবি খুলনার আঞ্চলিক প্রধান এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৭২টন পেঁয়াজ এসেছে ১০ দিনেই শেষ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button