স্থানীয় সংবাদ

ভেড়ামারায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাবের রমরমা ব্যবসা : অভিযান নেই

ভেড়ামারা প্রতিনিধি ঃ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা চলছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা, প্যাথলজিস্ট ও উন্নত চিকিৎসাসেবা পরিবেশ নেই। একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেজিষ্ট্রেশন থাকলেও তারা নবায়ন করেনী। এবছর নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা হয়নি। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন আফিস সুত্রে জানা গেছে, ১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে রোগীপ্রতি ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে ন্যূনতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী দুজন সেবিকা, তিনজন সুইপার ও ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করে আসার প্রবণতা দেখেছি আমরা। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের গুণমান নিশ্চিত করতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট ছাড়াই রোগীর অস্ত্রোপচার, চিকিৎসাসেবা ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলার অভিযোগ রয়েছে অনেক স্থানে। ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এমন অভিযোগে এর আগে ক্লিনিক বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পরও থেমে নেই স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার ব্যবসা। অভিযোগ আছে, প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করেই কার্যক্রম শুরু করে দেয়। সরকারের অনুমোদন না নিয়ে খুলে বসা এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে চলছে ব্যবসা। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেক রোগী নানা হয়রানি শিকার হচ্ছেন। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আমিন বলেন, ভেড়ামারা উপজেলায় ১৪টি ক্লিনিক ও ২৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিষ্ট্রেশন থাকলেও নবায়ন করেনী। ভেড়ামারা উপজেলা প্রায় ৫০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে রেজিষ্ট্রেশন নেই তাদের তালিকা কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনের মধ্যামে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button