যশোরে যুবক খুনের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা : গ্রেফতার ৪

যশোর ব্যুরো ঃ যশোর রেলওয়ে ষ্টেশনের ২নং প্লাটফর্ম এলাকায় জুম্মান (৩৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন, নিহত জুম্মানের ভাই যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দার পাড়া) এলাকার মৃত মুরাদ সরদারের ছেলে মামুন হোসেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহার নামীয় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক মোড়ের রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়া বিহারী পট্টির ইমান আলী ড্রাইভারের ছেলে সবুজ, সদর উপজেলার পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাবু আলীর ছেলে মোহম্মদ ও শহরের রায়পাড়া তুলোতলা মোড় বাস টার্মিনালের পিছনে জাফরের ছেলে সজিব। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদেরকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের কাছে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামীরা হচ্ছে,যশোর শহরের তেঁতুলিয়া (ইসমাইল কলোনী) এলাকার খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন, চাঁচড়া রায়পাড়ার রিপনের ছেলে প্রিন্স, রায়পাড়া তুলোতলার কালা বাবুর ছেলে রনি, শংকরপুর পশু হাসপাতালের পাশে তৌহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব, টিবি ক্লিনিক পাড়ার রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়া বিহারী পট্টির ইমান আলী ড্রাইভারের ছেলে সবুজ, আশ্রম রোড শাহনাজ হোটেলের পিছনে তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল ওরফে কপালকাটা রুবেল, খড়কী কলাবাগান এলাকার রবি ওরফে ছোট রবি,পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের মোহাম্মদ, চাঁচড়া রায়পাড়া ইসমাইল কলোনীর আব্দুল আলীমের ছেলে সাগর,চাঁচড়া রায়পাড়ার জাফরের ছেলে সজিব, একই এলাকার কিছলু কাজীর ছেলে শাহিন ও শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার বিপ্লবসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ভাই জুম্মানের সাথে উক্ত আসামীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। উক্ত শক্রতার জের ধওে গত ১০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার পর যশোর রেলষ্টেশনের দক্ষিণ পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিসের সামনে বাদির ভাই জুম্মানকে একা পেয়ে উক্ত আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে গেলে বাদির ভাই প্রানে বাঁচার জন্য দৌড়ে উক্ত রেলষ্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে উঠার সময় ইমন ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ইমন ও রনিসহ অন্যান্য আসামীরা বাদির ভাইকে পাথর ছুড়ে মারে। পরে ১নং প্লাটফর্মে উঠে গেলে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। এ ঘটনায় র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকসদল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শুভ,সবুজ ও মোহাম্মদ গ্রেফতার করে জিআরপি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।