আসামী ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশ

চোখে মুখে সুপার গ্লু দিয়ে গৃহবধু ধর্ষণ #
মামলার প্রস্তুতি চলছে, ভিকটিম এখনো সার্জারীতে ভর্তি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার-গ্লু লাগিয়ে এক গৃহবধূ (৪৫)কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। তবে শারিরীকভাবে বেশি অসুস্থ হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। একটু মানসিকভাবে স্বাভাবিক ও সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে আবার ওসিসিতে রেফার্ড করা হবে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ আসামী ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুুমেক) হাসপাতালের সামনে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) সূত্র মতে, ওই গৃহবধু এখনো হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে আছে। সুস্থ হলে তাকে আবারও ওসিসিতে রেফার্ড করবেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
খুমেক হাসপাতালের আরএমও ও ওসিসির সমন্বয়কারী ডা: সুমন রায় বলেন, দুপুরে ওই গৃহবধূকে ওসিসিতে নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যেহেতু ওই রোগী শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই তাঁকে আবার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে তবে এ ধরণে নৃশংস ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের ধরতে মাঠে আছে পুলিশ। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে। গৃহবধূর স্বামী বলেন, তাঁর স্ত্রী কথা বলতে না পারায় প্রকৃত ঘটনা কী হয়েছিল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এই মুহূর্তে তাঁরা কাউকে সন্দেহও করতে পারছেন না। তাঁর স্ত্রীর শরীরে থাকা স্বর্ণেও কানের দুল, গলার চেইনসহ বেশ কিছু স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে। সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়িতে কী কী ক্ষতি হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না তাঁরা। কান থেকে দুল টেনে নেওয়ায় দুই কানের লতি কেটে গেছে। সেখানে চিকিৎসকেরা সেলাই করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। শনি ও বুধবার ছাড়া অন্য দিন তিনি বাড়ির বাইরে থাকেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে খুলনায় থেকে লেখাপড়া করে। গত রোববার ঘটনার রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে চোখ-মুখে সুপার-গ্লু দিয়ে এক গৃহবধূকে (৪৫) ধর্ষণ হওয়ায় সোমবার তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সার্জারী ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়েছে। ্এর আগে রোববার পাইকগাছায় রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয় ভেঙ্গে গৃহবধূর বেডরুমে যায়। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে চোখে সুপার-গুø আঠা ও মুখে টেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করা হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এ সময় চোরেরা ১ জোড়া স্বর্নের কানের দুল এবং আনুমানিক ২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।