যশোরে প্রকাশ্যে এক কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগে মামলা

যশোর ব্যুরো ঃ কলেজ পড়–য়া কন্যা মোছাঃ সানিয়া খাতুন (১৭)কে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ২ মার্চ রাতে কলেজ পড়–য়া ছাত্রীর মাতা যশোর সদর থানার কৃষ্ণবাটি মোল্লাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার তফসীডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে মান্না খান,তফসীডাঙ্গা,পুলেরহাট (বাজারের রড সিমেন্ট এর দোকান) মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে জিয়াউর রহমান,তফসীডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা,কামরুল ইসলামের ছেলে মুন্নাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
এামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ সানিয়া খাতুন নতুনহাট পাবলিক কলেজে এইচ এস সি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করে। মান্না খান তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদির মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। বাদির মেয়ে আসামীর কথায় রাজী না হওয়ায় মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন বাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৮ টায় বাদির মেয়ে বাড়ি হতে গলায় সোনার চেইন,কানের দুল ও একটি আংটি পরে উক্ত কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে উক্ত কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী বাড়িতে আর ফিরে আসেনি। বাদির পরিবার খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন মান্না খান তার সহযোগী আসামীদের সহায়তায় উক্ত কলেজের সামনে সকাল ৯ টায় পৌছালে মান্না খান জিয়াউর রহমান জিয়া ও কামরুল ইসলামের সহায়তায় বাদির মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে উক্ত আসামী তার পিতা ও মাতার ও আসামীর খালু জিয়াউর রহমান জিয়ার সহায়তায় বাদির মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্যে অজ্ঞাতস্থানে গোপন করে রেখেছে। বাদি ও তার পরিবারের লোকজন বাদির মেয়েকে বিভিন্ন আত্মীয় বাড়ি ও তার বন্ধু বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে খোজ কবর করে তার মেয়ের কোন সন্ধান করতে পারেনি। মান্না খানের পিতা মাতাকে বাদি তার মেয়েকে ফেরত দিতে বললে তার মেয়েকে ফেরত দিবে বলে আশ^াস দেওয়া সত্বেও বাদির মেয়েকে ফেরত না দিয়ে তালবাহনা করে। আসামীরা যে কোন সময়ে বাদির মেয়েকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ আশংকা করছে। কোন উপায়ূন্তর না পেয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃতা কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপহরনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।