ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে ক্ষুদ্র ব্যাবসা ঘুচছে বেকারত্ব

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ শফিকুল ইসলাম রাষ্ট বিজ্ঞানে অনার্স শেষ করার পর সরকারী চাকুরী আর জোটেনি। বেসরকারী ওষুধ কোম্পানির চাকুরী পেলেও এতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যেকারণে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি অন্যের হয়ে যতটুকু সময় পরিশ্রম করছি। ঠিক এতটুকু পরিশ্রম নিজের জন্য করব। তবে খুব পুঁজি না থাকলেও সামান্য কিছু গচ্ছিত অর্থ দিয়ে একটি বিশেষ ভ্রাম্যমান ভ্যান তৈরি করে। প্রাথমিক ভাবে ফুচকা বিক্রি শুরু করে। এর পর ভেল পুড়ি সহ নানা ধরনের খাবার ভ্রাম্যমান ভ্যানে বিক্রি শুরু হয়। এর পর থেকে বাড়তে থাকে উপার্জন এখন সব মিলিয়ে মাসিক উপার্জন প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত। এরকম একজন না বর্তমানে হাজার ও মানুষ এখন ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে হকারি, পেয়াজঁ, রসুন, আলু, ফল, খাবার বিক্রি পোশাক বিক্রি, ব্যাগসহ না ধরনের আসবাবপত্র বিক্রি করছে। এতে করছে ঘুচছে বেকারত্ব বাড়ছে আত্মকর্মসংস্থান। এছাড়া বিকাল বা সন্ধ্যার পর থেকে দেখা যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে হাকারী করছে। এছাড়া এদের কাছে বিক্রিত এসব সামগ্রীর দাম ও বেশ নাগালে পাওয়া যায়। খুলনা ডাকবাংলা এলাকায় দেখা যায় ভ্যানে করে পোশাক, জুতা, টি শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রি করছে । আর এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ঘিরে ক্রেতা সমাগম বেশ দেখা যায়। এ বিষয়ে কথা হয় ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি মোঃ আকবার হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, আমি ভ্যানে করে পেয়াজ, আলু, রসুন, জিরাসহ যখন যে আ্ইটেমে লাভ বেশি সেই পণ্য ক্রয় করে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করছি। লোকশান এখন হয়নি। তবে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৮শ থেকে ১হাজার টাকা পযন্ত উপার্জন হয়। আর ভাই চাকুরী পিছনে অঘুরে সময় নষ্ট। এর থেকে ছোট পর্যায়ে ব্যাবসা শুরু করছি। এছাড়া নিজের ব্যবসা যখন খুশি বের হলাম। আর চাকুরীতে থাকে বিভিন্ন কৈফিয়ত সহ নানা ধরনের জটিলতা। আপনি বলতে পারেন ভাল আছি। একই কথা বলেন পোশাক বিক্রেতা আমীর আলী তিনি বলেন, আগে একটি বেসরকারী ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করতাম। তবে এখানে বেতন ছিল খুব কম। মাসিক মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম পোহাতে হতো। এরপর এক বড় ভাইয়ের কথা মত ঢাকার থেকে কিছু কম মূল্যে গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে ভ্যানে করে বিক্রি শুরু করলাম। এখন প্রতিদিন উপার্জন হয় ৫শ টাকার উপরে। আমাকে দেখে আমার প্রতিবেশি একজন রাসেল তিনিও এই এই ব্যাবসা শুরু করেছে। বলতে পারেন আল্লাহ এখন আগের থেকে ভালো রেখেছেন।এ বিষয়ে খুলনা যুব উন্নয়নের বিভাগীয় উপঃ পরিচালক মোঃ মোস্তাক উদ্দিন বলেন, ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে বেকারত্ব দুর হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন থেকে কিছু নির্দেশনার আছে এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হচ্ছে। অবশ্যই এর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান বাড়ছে।