রমজান মাসেও খালিশপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের শিকার : মামলা হলেও গ্রেফতার নেই

স্টাফ রিপোর্টারঃ এই পবিত্র রমজান মাসে নগরীর খালিশপুরে প্রতিবন্ধী যুবতি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মিরাজ বাদী হয়ে ধর্ষক মোঃ রুবেল(৩০)কে আসামী করে খালিশপুর থাানয় মামলা দায়ের করেছে। তবে পুলিশ এখনও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষক রুবেল একজন ইজিবাইক চালক। তারও স্ত্রী ও কণ্যা আছে। সে খালিশপুর পিপলস পাঁচতলা কলোনীর ২নং বিল্ডিং-এর বাসিন্দা মৃতঃ মুনসুর দারোয়ানের ছেলে। ধর্ষক ভিকটিমকে পর পর তিন দিন ধর্ষণ করেও ভিকটিম পরিবারকে চাপের মুখে রাখে তারই দুলাভাই আলমের সহযোগিতায় বলে এলাকাবাসী জানায়। তারা জানায়, আলমের শ্যালক হওয়ার সুবাধে ধর্ষক রুবেল অন্যায় করেও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এই রুবেল প্রথম একটা বিয়ে করে। এক বছর ঘর করার পর তা ছেড়ে দেয়। আবারো বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। তারপরও এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম পরিবার ও ধর্ষক পরিবার একই ভবনের পাশাপাশি রুমে বসবাস করে। তারা একই বাথরুম ব্যবহার করে। ভিকটিম(১৯) শারিরীক প্রতিবন্ধি। এ সুযোগে ধর্ষক ভিকটিমকে বাথ রুমে ফেলে তিন তিন বার ধর্ষণ করে। প্রথম দফায় গত ১৬ মার্চ বিকেল ৩টায় ভিকটিম বাথ রুমে গেলে তার মুখ চেয়ে ধরে রুবেল তাকে ধর্ষণ করে। ১৭ মার্চ একই সময় ভিকটিম টয়লেটে গেলে লম্পট রুবেল তার মুখ চেয়ে ধরে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ১৮ মার্চ রাত ৮টায় ভিকটিম টয়লেটে গেলে ধর্ষক তার মুখ চেয়ে ধরে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবারকে জানানোর পর তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কাউন্সিলরকে জানায়। তখন তারা এ ব্যাপারে শালিসী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এমনই সময় বিষয়টি পুলিশ জেনে যায়। খবর পেয়ে খালিশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি টিম হাউজিং বাজার ১নং ক্যাম্পের একটি বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম পিতা মামলা করলেও ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ভিকটিমকে বাসায় আনা হয়েছে বলে তার বাবা জানান। তবে ধর্ষক রুবেল পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান। পবিত্র রমজান মাসেও লম্পটদের চরিত্রে নুন্যতম পরিবর্তন না আসায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মুরব্বীরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারিয়া খাতুন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও আসামী গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।