স্থানীয় সংবাদ

ইয়াবা সেবনের আগুনে পুড়ছে নতুন টাকার নোট!

যুব সমাজ ধ্বংসের সাথে প্রত্যক্ষভাবে ধ্বংস হচ্ছে দেশিয় মুদ্রা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ ইয়াবা সেবনের আগুনে পুড়ছে দেশের নতুন টাকা গুলো। এসব ছেঁড়া-পোড়া ফাটা টাকার নোট নিয়ে হরহামেশা বিচলিত হয়ে পড়ছে সাধারণ ব্যাবসায়ি ও জনসাধারণ। এসব নতুন টাকার নোটের মধ্যে দুই টাকার নোট থেকে শুরু করে রয়েছে ১শ টাকার নোট এমনকি বাদ যাচ্ছেনা পাচশঁত টাকার নোট পর্যন্ত । অনুসন্ধান ও একাধিক ইয়াবাসেবনকারিরা বলেন, ইয়াবা ট্যাবলেট আগুনে তাপ দিয়ে মুখে টানতে হলে একটি পাইপের প্রয়োজন। আর সেই পাইপ বানাতে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে তাৎক্ষনিকভাবে সহজ উপায়ে পাওয়া যায় পকেটে থাকা নতুন টাকার নোট। আর ইয়াবা সেবনের টাকার কিছু অংশ আগুনে পুড়ে গেলেও বিভিন্ন কৌশলে আবারও এই নতুন টাকা বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়। দেখা যায় কোন ব্যাবসায়ি বা দোকানিকে একটি টাকার বান্ডিল বা টাকার নোট বিশেষ কায়দায় ভাজ করে চালানো যায়। আর এতে করে বেশি সমস্যায় পড়ছে সাধারণ মানুষেরা। এমনকি আগুনে পুড়ে যাওয়া নোট কোন দোকানি নিতে ও অনীহা প্রকাশ করে। এতে করে অনেক সময়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় ক্রেতা ও দোকানির সাথে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ আসলাম গাজী বলেন, যেভাবে হোক আমার পকেটে পাচঁশত টাকার একটি পোড়া নোট চলে আসে। আমি এই টাকা কোথাও চালাতে পারছিনা। এছাড়া টাকাটির চারপাশের কোনায় কোনায় বেশ বড় বড় পোড়া দাগ। আমি হয়তো এই টাকা অন্য কারও কাছ থেকে পেয়েছি। তবে কার কাছ থেকে কিভাবে এসছে বলতে পারছিলাম না। অবশেষে খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক এর সামনে টেবিল নিয়ে বসে থাকা নতুন ছেঁড়া-ফাটা টাকা ব্যাবসায়িদের কাছে পাঁচশত টাকা মাত্র ২৬০ টাকা কমে বাট্রা দিয়ে চলে আসছি। এসময়ে ব্যবসায়িরা বলেছে এই টাকা কোন ভাবে চলেনা তবে, বিশেষ কৌশলে টাকার বান্ডিলে ডুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়ে কথা হয় সচেতন নাগরীক মোঃ রাকিবুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মাদকসেবীরা আর তাদের বুদ্ধি কতটা লোপ পেয়েছে যে দেশের টাকা আগুনে পুড়িয়ে ফেলছে। আর এতে তাদের কিছু যায় আসেনা। মাদক সেবন করতে করতে তাদের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে। এসব প্রতিরোধ করতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা। আর এই সচেতনতার পাশাপাশি মাদক সেবন বন্ধ। আর এই মাদক যতদিন বন্ধ হচ্ছেনা। এমন কর্মকান্ড অবশ্যই সমাজে চলমান থাকবে। এছাড়া অভিভাবকসহ স্থানীয় মসজিদের ইমামদের দিয়ে সচেতনতা ও সামাজিকভাবে সকলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে হবে। মাদক ইয়াবা নির্মূল যতদিন না হবে। ঠিক ততদিন সামাজিক অবক্ষয় চলমান থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button