হোগলাডাঙ্গায় মাদক বিক্রি ও সেবনে বাঁধা

স্বামী-স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার ঃ হোগলাডাঙ্গায় মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেয়ায় দুর্বৃত্তরা স্বামী-স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনায় বটিয়াঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুমন মোল্লা (৪৪) ও তার স্ত্রী তারা বেগম(৪২) দীর্ঘ দিন ধরে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তারই বাড়ির সামনে সুজন ও একরাম গাজী মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। তারা ওইখানে বসে মাদক সেবনের আখড়া গড়ে তুলেছে। একই সাথে চলে মাদক বিক্রি ও সেবনে মহোৎসব। এরই প্রতিবাদ করায় চক্রটি সুমনের ওপর ক্ষীপ্ত হয়। তারা তাকে এলাকা থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পা পাড়িয়ে ধরে গোলমাল করার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে সুমন বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে দেশী ধারালো অস্ত্র, এসএস পাইপ ও লাঠি ছিল। সুমন কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে সুমনের একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। তার চিৎকারে স্ত্রী তারা বেগম ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। মাথা কেটে যায়। এতে তারা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতেও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা রক্তাক্ত দু’জনকে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। এ সময় তারা হাতের আংটি ও ঘরের ভিতর থেকে নগদ ১২ হাজার ৪শত টাকা নিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা এলাকা ছেড়ে যাওয়া ও এ ব্যাপারে থাান পুলিশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। এলাকাবাসী এসে তাদের দু’জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভিকটিম সুমন মোল্লা বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। দুর্বৃত্তরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, একাধীক মাদক মামলার আসামী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ দাখিলের সত্যতা স্বীকার করে ওসি জানান, বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।