স্থানীয় সংবাদ

চার দফা দাবিতে খুমেক হাসপাতালের ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসদের কর্মবিরতি ২৮ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা: দিবাকর চাকমা বলেন, তাদের ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি শেষ হওয়ায় পুনরায় তাদের কর্মবিরতি বৃদ্ধি করে ২৮ মার্চ পর্যন্ত দুপুর ২টা পর্যন্ত চলমান থাকার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হয় তাহলে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে খুমেক হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন এর সম্বনয়ক ডা: হেদাইয়াত সৌরভ বলেন, আমাদের গতকাল সোমবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মবিরতি পাশাপাশি মানববন্ধন পালন করেছি। আমাদের এই কর্মবিরতি সাথে একমত পোষন করেছেন খুলনা বিএমএ নেতৃবৃন্দরা। পাশাপাশি মানববন্ধন খুলনার বিএমএ নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। এ সময়ে বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ও কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজসহ বিএমএ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে নিয়ে খুলনা বিএমএ নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারা আমাদের এই দাবিগুলো সাথে একমত পোষন করেছেন। পাশাপাশি আমাদের এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সাথে একাতœতা ঘোষনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি। আবারও ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ দুপুর ২টা পর্যন্ত একইভাবে কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন। তাদের এই কর্মসূচি সারাদেশ ব্যাপী পালন করা হবে। এর পর যদি দাবি না মানে তাহলে ২৯ মার্চ থেকে পুনঃ কর্মবিরতি ঘোষনা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে চার দফা দাবিতে গতকাল সোমবার কর্মবিরতি পাশাপাশি ও মানববন্ধন পালন করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। পূর্বে নির্ধারিত অনুযায়ী পাস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা যৌথভাবে এই কর্মূসচি পালন করেছেন। তাদের এই কর্মবিরতি সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন বক্তব্য রাখেন খুলনা বিএমএ সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজসহ খুলনার বিএমএ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে বিএমএ সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম বলেন, তোমাদের এই আন্দোলন যথা সময়ে আন্দোলন। আমরা আমাদের সংগঠনের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাদের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করার জন্য। পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে করে ডা: শেখ বাহারুল আলম আরও বলেন, তোমরা এখন একা নও, তোমাদের সাথে বিএমএ আছে। কেউ না থাকলেও খুলনার শাখা নেতৃবৃন্দ থাকবে উল্লেখ করে বলেন, তোমরা কোনভাবেই মাঝ পথে ভেঙ্গে পড়বে না। আঘাত আসবে, তোমাদের সাথে অংশ গ্রহন করে নেতৃবৃন্দরা ভাগাবাগি করে নেবে। তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক। তিনি আমাদেরই লোক, খুবই আন্তরিক। আশাবাদি তোমাদের এই দাবিগুলো মেনে নেবেন।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ দুপুর ২টা থেকে ২৫ মার্চ দুপুর ২টা পর্যন্ত চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। সারাদেশ ব্যাপী পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস এসোসিয়েশন এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা যৌথভাবে এই কর্মূসচি পালন করেছেন। তাদের দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে, পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার এবং ইন্টার্ণ ডাক্তারদের মাসিক ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা উন্নতিকরণ, এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ, বিএসএমএমইউ এর অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভাতা পুনরায় চালুকরণ এবং চিকিৎসা সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ এবং বাস্তবায়ন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button