১ কেজি চালের দামের সমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হালি দেশী কাগজি লেবু

শেখ ফেরদৌস রহমান । অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই এক হালি দেশীয় কাগজি লেবু ৫০ টাকা থেকে আকার ভেদে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। যা দিয়ে ১ কেজি চাউল বা ১ হালি ডিম ক্রয় করা পরও হাতে থাকবে চা,পান খাওয়ার টাকা । নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। এ দিকে বিক্রেতারা বলছে এখনও দেশীয় কাগজি লেবুর সিজন শুরু হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবারাহ নেই। পাশাপাশি চলছে রমজান এ মাসে দেশীয় লেবুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ইফতারিতে দেশীয় কাগজি লেবু তৈরি শরবত খেতে দারুন সুস্বাদু লাগে। যে কারণে দাম একটু বেশি থাকে। তবে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার আগেও ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি । ইফতারিতে এই লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি হাকাচ্ছে খুচরা ব্যাবসায়িরা। এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত এ্যালাচি নামক লেবু সরবরাহ আছে। এসব লেবু দাম প্রকার ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি হালি বিক্রি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন নাগালে আছে। তবে এই দেশীয় ছোট আকারের কাগজি লেবুর দাম এত বেশি কেন? রমজান শুরু হতেই লেবুর চাহিদা থাকে। তবে এত বেশি দামে কেন? বিক্রি করা হচ্ছে ছোট লেবু। এখন সিজন না থাকলেও কিছু দিন আগেও বিক্রি ছিল ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হালি। রমজান উপলক্ষে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর থেকে এই টাকা দিয়ে ১ হালি ডিম ক্রয় করে খাওয়া ভাল । ১ হালি ডিম কেনার পরও চা খাওয়ার টাকা বাচবে। এসব অসাধু ব্যাবসায়িদের পণ্য বয়কট করা উচিত। মূলত যখন ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে বাজারে যেমন, তরমুজ, পেয়াজ, আলু, দেশীয় লেবু, দাম বাড়িয়ে দেয়। এসময়ে এসব পণ্য কেনা আদৌ উচিত হবে না। তাহলে হয়তো এদের শিক্ষা দেয়া যাবে। এ বিষয়ে কথা হয় বিক্রেতা মোঃ আসাদ এর সাথে তিনি বলেন, আমরা লেবু হালি প্রতি ১০ টাকা লাভে বিক্রি করছি। এছাড়া বর্তমানে বাজারে দেশীয় কাগজি লেবুর পর্যাপ্ত সরবারাহ নেই। এখন আপনার যদি পণ্যের চাহিদা থাকে আর বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকে। তাহলে তো দাম বেশি থাকা স্বাভাবিক। এসব দেশীয় কাগজি লেবুর যখন সিজন থাকে তখন তো হালি দশ টাকার বেশি দাম থাকেনা। এতে আর কি সমস্যা। অনেক ক্রেতা আছে যারা এই লেুব ১শ টাকা হালি হলেও নিবে। আমার কিছু বাছাই করা ক্রেতা আছে। যারা এই দেশীয় লেবু ক্রয় করে। আমি এদের জন্য সামান্য কিছু লেবু উঠিয়েছি। আবার লেবুর সিজনে কম দামে বিক্রি করা হবে। আমের অফ সিজনেও কয়েক গুন বেশি দামে আম বিক্রি হয়। তাহলে লেবু বিক্রি হলে দোষের আর কি?।