স্থানীয় সংবাদ

সুন্দরবনে মধূ আহরন করতে গেলেন কয়রার ৫ শতাধিক মৌয়ালী

মধু আহরণ মৌসুম শুরু

রিয়াছাদ আলী,কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি ঃ পাশ পারমিট নিয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে দল বেঁধে কয়রার মৌয়ালেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন। এক সপ্তাহ আগেই নৌকা সাজানোর কাজ শেষ করেছিলেন খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার মৌয়ালেরা। এবার ঐ দিন সকাল ৮ টায় কয়রার কাশিয়াবাদ ফরেস্ট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌয়ালদের হাতে মধু সংগ্রহের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হয়েছে। মধু আহরনের অনুমতি পেয়ে কয়রার মৌয়াল পরিবারগুলোতে বেশ খুশি। অনুমতি পেয়েই সকাল থেকে দল বেঁধে কয়রার ৫ শতাধিক মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। প্রথম দিনে কয়রার কাশিয়াবাদ স্টেশন থেকে ৫৭ টি বানিয়াখালী স্টেশন হতে ১৬ টি ও কোবাদক স্টেশন হতে ১৪ টি নৌকার পাস দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রায় ৫ শতাধিক মৌয়াল প্রথম দিরে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমর মন্ডল বলেন, এবার প্রতি কুইন্টাল মধুর জন্য ১ হাজার ৬০০ টাকা ও মোমের জন্য ২ হাজার ২০০ টাকা রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি নৌকায় ১৪ দিনের জন্য মধু আহরণের পাস দেওয়া হয়েছে। মৌয়ালদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি দলে ৭ থেকে ৯ জন সদস্য থাকেন। প্রথম পর্যায়ে তাঁরা ১৪ দিন সুন্দরবনে অবস্থান করে মধু ও মোম সংগ্রহ করে ফিরে আসবেন। পরে আবার সুন্দরবনে যাবেন। এভাবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত টানা সুন্দরবন থেকে মধু ও মোম সংগ্রহ করা হবে। কয়রার মৌয়ালী আমিরুল মৃধা বলেন, আমি মহাজনের থেকে টাকা নিয়ে আটজনের একটি বহর নিয়ে বনে যাচ্ছি। বেশি মধু না পেলে চালান মার যাবে। তখন ঋণের বোঝা টেনে বেড়াতি হবে। এলাকায় কাজ-কাম না থাকায় বাধ্য হয়ে এ বছর মধু সংগ্রহে যাচ্ছি। কয়রার মৌয়ালদের দবি মহাজন প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে সুদ বিহীন লোনের ব্যবস্থা করতে পারলে তাদের পক্ষে ভাল হতো। বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে মধূ আহরণ মৌসুমকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌয়ালদের মধূ আহরন করার উপর সচেতনতামুল সভা করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসএিফ) এজেডএম হাছানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রতিটি নৌকায় ১০-১২ জন মৌয়ালী অবস্থান করতে পারবেন। একজন মৌয়ালী ১৪ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু ও ১৫ কেজি মোম আহরণ করতে পারবেন। ১৪ দিনের বেশি কোনো মৌয়ালী সুন্দরবনে অবস্থান করতে পারবেন না। তা ছাড়া কোন মৌয়ালীরা যাতে কোন প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় তার জন্য স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির বন কর্মীদের নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button